ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭
ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জাকারবার্গের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে জনপ্রিয় দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে শিশুসন্তানেরা ক্ষতির শিকার হয়েছে—এমন অভিযোগ তোলা পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।


মার্কিন সিনেটে এক জেরায় অংশ নিয়ে ক্ষমা চান জাকারবার্গ। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে যা হয়েছে, কারও এর মধ্য দিয়ে যাওয়া উচিত নয়।’


মার্কিন সিনেটের জেরায় মেটাপ্রধান জাকারবার্গ ছাড়াও টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট, এক্স ও ডিসকর্ডের প্রধানেরা অংশ নেন। ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান—উভয় দলের সিনেটরদের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা তাঁদের সওয়াল-জওয়াব হয়।


অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, জেরায় জাকারবার্গসহ টেকপ্রধানদের কাছে এটাই ছিল মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জিজ্ঞাসা। প্রভাবশালী টেকপ্রধানদের কাছে সিনেটরদের এভাবে জেরা করা খুব কমই দেখা যায়।


জাকারবার্গ ও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ স্বেচ্ছায় জেরায় অংশ নেন। তবে স্ন্যাপচ্যাট, এক্স ও ডিসকর্ডের সিইওরা শুরুতে জেরায় অংশ নিতে অপারগতা জানান। পরে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জেরায় হাজির থাকার জন্য আদেশ জারি করা হয়।


এরপরই ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সামনে সিনেটের জেরায় অংশ নেন পাঁচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সিইওরা। এসব পরিবারের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আধেয়র (কনটেন্ট) কারণে তাদের শিশুসন্তানেরা নিজেদের ক্ষতি করেছে, নয়তো নিজের জীবন কেড়ে নিয়েছে।


তবে জেরায় অনলাইনে শিশুদের যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। মেটাপ্রধান জাকারবার্গকে কড়া সওয়াল-জবাবে মুখোমুখি হতে হয়। এর আগেও তিনি মার্কিন কংগ্রেসে আটবার জেরার মুখোমুখি হয়েছেন।


এবারের জেরার একপর্যায়ে রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ জাকারবার্গকে একটি ইনস্টাগ্রাম প্রম্পট দেখান। শিশুদের যৌন নিপীড়নমূলক কনটেন্ট দেখার বিষয়ে তাতে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে হয়েছে। তবে তাতে এটাও জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আপনি এরপরও এর ফলাফল দেখতে চান কি না?’ এ বিষয়ে টেড ক্রুজ জানতে চান, ‘আপনি (জাকারবার্গ) বিষয়টি নিয়ে কি ভেবেছিলেন?’


জবাবে জাকারবার্গ বলেন, ‘এর পেছনের মূল কারণ হলো, তাঁদের (ব্যবহারকারী) একেবারে ব্লক করে দেওয়ার বদলে এমন কিছুর দিকে ধাবিত করা, যা তাঁদের জন্য সহায়ক হতে পারে।’এরপরও ‘ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখার’ প্রতিশ্রুতি দেন জাকারবার্গ।


রিপাবলিকান সিনেটর জোস হাওলির এক প্রশ্নের জবাবে পেছনে বসা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন জাকারবার্গ। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকান, এরপর বলেন, ‘আপনারা সবাই যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তা ভয়ংকর। এ জন্য আমি দুঃখিত।’


জাকারবার্গ আরও বলেন, ‘আপনাদের পরিবারের সদস্যরা যে কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন, কারোরই এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়া উচিত নয়।’


জেরায় টিকটকের সিইওর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর কোম্পানি মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে কি না? জবাবে শাও জি চিউ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।


শাও জি চিউ বলেন, ‘আমার নিজেরও তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। বাবা হিসেবে আমি বুঝতে পারি, আমরা আজকে যা নিয়ে আলোচনায় বসেছি, তা একটি পরিবারের জন্য ভয়ংকর এবং প্রতিটা মা-বাবার জন্য দুঃস্বপ্নের।’


টিকটকের সিইও এটাও জানান যে তাঁর নিজের তিন সন্তান টিকটক ব্যবহার করে না। এর কারণ, শাও জি চিউয়ের পরিবার সিঙ্গাপুরে বসবাস করে। দেশটিতে শিশুদের তা ব্যবহারে বিধিনিষেধ আছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com