শিরোনাম
হজ কাদের উপর ফরজ
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩০
হজ কাদের উপর ফরজ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আর মাত্র ৬ দিন পর সারাবিশ্বের মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় সমাবেশ হজ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।


হজ ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। আরবি জিলহজ মাসের ৮-১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধারিত সময়।


ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিত। আর এই বিষয় জানতে গেলে প্রথম প্রশ্ন উঠে আসে, তা হলো হজ কাদের জন্য ফরজ আর কাদের ওপর নয়।


ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, যে ব্যক্তির কাছে মক্কা শরীফ থেকে হজ করে ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরীফ যাতায়াতের মোটামুটি খরচ পরিমাণ অর্থ থাকে, তার ওপর হজ ফরয। অর্থাৎ ব্যবসায়িক পণ্য ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমির মূল্য এ অর্থের হিসেবে গণ্য হবে।


অন্ধের ওপর হজ ফরজ নয়, তার যত ধনই থাকুক না কেন। নাবালেগের ওপর হজ ফরজ নয়। নাবালেগ অবস্থায় হজ করার পর সাবালক হবার পর সম্ভব হলে পুনরায় হজ করতে হবে।


হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও যে হজ না করে মৃত্যুবরণ করে, তার জন্য ভীষণ আযাবের সংবাদ দেয়া হয়েছে। এরূপ লোক সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বর্ণনা করেছেন, ‘সে ইহুদী হয়ে মরুক বা নাছার হয়ে মরুক, আল্লাহ্ পাকের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।’


হজ ফরজ হবার পর আলস্য করে বিলম্ব করলে এবং পরে গরীব বা শক্তিহীন হয়ে গেলেও ওই ফরজ মাফ হবে না। যে কোনো উপায়ে তাকে হজ করতে হবে বা মৃত্যুর আগে কাউকে বদলি হজের দায়িত্ব দিয়ে যেতে হবে।


হজ ফরজ হওয়ার পাঁচটি শর্ত নিম্নরূপ-


১। মুসলিম হতে হবে। কাফেরের ওপর হজ ফরজ নয়। কাফের যদি হজ আদায়ও করে তাহলে সে আমল কবুল হবে না।


২। বালেগ হতে হবে। যে সাবালগ হয়নি তার ওপর হজ ফরজ নয়। যদি নাবালগ কেউ হজ আদায় করে তবে তা নফল হজ হিসেবে আদায় হবে এবং সে এর সওয়াব পাবে। সে যখন সাবালগ হবে তখন ফরজ হজ আদায় করতে হবে। কারণ সে সাবালগ হওয়ার আগে যে হজ করেছে- এর দ্বারা ফরজ হজ আদায় হবে না।


৩। জ্ঞ্যানসম্পন্ন হতে হবে। মস্তিস্কবিকৃত বা পাগল বা যাদের সঠিক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা লোপ পেয়েছে, তাদের জন্য হজ ফরজ নয়।


৪। স্বাধীন হতে হবে। ক্রীতদাসের ওপর হজ ফরজ নয়। যদি সে হজ আদায় করে তবে তার হজ নফল হিসেবে আদায় হবে। যদি সে স্বাধীন হয়ে যায় তাহলে তাকে ফরজ হজ আদায় করতে হবে।


৫। আর্থিক ও শারীরিক ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে। আর্থিক ও শারীরিক ক্ষমতা থাকলে নিজে হজ করবে। আর্থিক ক্ষমতা না থাকলে হজ ফরজ হবে না। আর্থিক ক্ষমতা আছে কিন্তু শারীরিক ক্ষমতা নেই, সেক্ষেত্রে নিজের পক্ষ থেকে কাউকে পাঠিয়ে হজ আদায় ফরজ। নারীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত একটি সামর্থ্য হচ্ছে- হজের সঙ্গী হিসেবে কোনো মাহরাম (যাদেরকে বিয়ে করা হারাম) পাওয়া। যদি নারীর এমন কোনো মাহরাম না থাকে তাহলে তার ওপর হজ ফরজ নয়।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com