ফজরের নামাজের পর ৪টি কালেমা সম্বলিত একটি জিকিরের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। যে জিকিরটি শুধুমাত্র ৩ বার পড়লে সকালের দীর্ঘ জিকিরের চেয়ে উত্তম ও ভারী হয়ে যায়।
জিকিরটি হলো- سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদাআ নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।’ অর্থ: ‘আল্লাহ পবিত্র এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; এ পবিত্রতা ও প্রশংসা তার সৃষ্ট বস্তুর সমান। তার নিজের সন্তুষ্টির সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার আরশের ওজনের সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার বাণীসমূহ লেখার কালির পরিমাণের সমান।’
এই জিকির সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়াইরিয়া বিনতে হারেস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) প্রত্যূষে (ফজরের নামাজ শেষ করে) তাঁর কাছ থেকে বের হলেন। যখন তিনি ফজরের নামাজ আদায় করলেন তখন তিনি নামাজের জায়গায় ছিলেন। এরপর তিনি দোহার পরে (সূর্য ওঠার বেশকিছু সময় পর) ফিরে এলেন। তখনও তিনি বসেছিলেন। প্রিয়নবী (স.) বললেন, ‘আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি সেই অবস্থায়ই আছো?
তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন রাসুলুল্লাহ (স.) (উল্লেখিত জিকিরের কথা উল্লেখ করে) বললেন- ‘আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর ৪টি কালেমা ৩বার পড়েছি। আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ; তার সঙ্গে ওজন করলে এই কালেমা চারটির ওজনই বেশি হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস সম্ভার: ৩৭১২)
আরও পড়ুন: যে দোয়া সকল দোয়ার সমষ্টি
তিরমিজির বর্ণনায় আছে, (নবী স. তাঁকে বললেন,) আমি কি তোমাকে এমন বাক্যাবলী শিখিয়ে দেব না, যা তুমি বলতে থাকবে? তা হচ্ছে এই যে- ‘সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী। (প্রত্যেক বাক্য তিনবার করে।) (তিরমিজি: ৩৫৫৫)
অতএব, মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজর নামাজের পর হাদিসে বর্ণিত ৪ কালেমার জিকির দ্বারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নবীজির শেখানো জিকির ফজরের নামাজের পর নিয়মিত পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]