ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। নামাজের শ্রেষ্ঠ অংশ হলো সিজদা। এর মূল আরবি উচ্চারণ সাজদাহ। কিন্তু আমাদের সমাজে ‘সিজদা’ শব্দটিই অধিকতর প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সিজদার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হতে পারে। সিজদা হলো বিনয় প্রকাশের সর্বোচ্চ রূপ। মহান রাজাধিরাজ আল্লাহ তাআলার সামনে সিজদার মাধ্যমে মূলত আমরা সর্বোচ্চ বিনয় প্রকাশের চেষ্টা করি। কোরআন-হাদিসে এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো এবং কল্যাণকাজে জড়িত থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা হজ: ৭৭) আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা চন্দ্র-সূর্যের সামনে মাথা নত কোরো না। সেই মহান সত্তার সম্মুখে সিজদায় লুটিয়ে পড়ো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা ফুসসিলাত: ৩৭)
সিজদা আল্লাহর প্রিয় ইবাদত
আবদুল আযীয কাসেমি
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১০
https://www.ajkerpatrika.com/297414
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। নামাজের শ্রেষ্ঠ অংশ হলো সিজদা। এর মূল আরবি উচ্চারণ সাজদাহ। কিন্তু আমাদের সমাজে ‘সিজদা’ শব্দটিই অধিকতর প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সিজদার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হতে পারে। সিজদা হলো বিনয় প্রকাশের সর্বোচ্চ রূপ। মহান রাজাধিরাজ আল্লাহ তাআলার সামনে সিজদার মাধ্যমে মূলত আমরা সর্বোচ্চ বিনয় প্রকাশের চেষ্টা করি। কোরআন-হাদিসে এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো এবং কল্যাণকাজে জড়িত থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা হজ: ৭৭) আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা চন্দ্র-সূর্যের সামনে মাথা নত কোরো না। সেই মহান সত্তার সম্মুখে সিজদায় লুটিয়ে পড়ো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা ফুসসিলাত: ৩৭)
হজরত সওবান (রা.) বলেন, আমি নবীজিকে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবে।’ নবীজি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য বেশি বেশি সিজদা করবে। কেননা তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে সিজদাই করবে, এর মাধ্যমে তিনি তোমার একটি মর্যাদা উঁচু করবেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করবেন।’ হজরত আবু দারদা (রা.) থেকেও একই রকমের বর্ণনা এসেছে। (মুসলিম)
রবিআ ইবনে কাআব (রা.) বলেন, আমি নবীজির সঙ্গে (মাঝে মাঝে) রাত যাপন করতাম। নবীজির জন্য অজুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তু এনে দিতাম। একদিন নবীজি আমাকে বললেন, ‘তুমি আমার কাছে কিছু চাইলে চাইতে পারো।’ আমি বললাম, ‘আমি জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই।’ নবীজি বললেন, ‘তাহলে বেশি বেশি সিজদা করার মাধ্যমে তুমি নিজেকে সহযোগিতা করো।’ (মুসলিম)
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]