পর্ব-২
অপতথ্য ছড়াচ্ছে এআই : সমস্যা সমাধানে করণীয়
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬
অপতথ্য ছড়াচ্ছে এআই : সমস্যা সমাধানে করণীয়
মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

অপতথ্য বিশ্ব শান্তির অন্তরায়। গত ১ আগস্ট ২০২৪ সালে “রাশিয়া-ইউক্রেন : অপতথ্যের যুদ্ধ” এই শিরোনামে রয়টার্সে ম্যাক্স হান্ডার্সের একটি নিবন্ধ আপলোড করা হয়। সেই নিবন্ধে তিনি বলেন, এই যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রিতার মূল ভিত্তি হচ্ছে অপতথ্য। এর মাধ্যমে ক্রমাগত গুজব রটিয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত রাখা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঠে সৈন্যদের মনোবল ধরে রাখতে এই অপতথ্য অনেকটা ডিজিটাল সুপারচার্জ-এর কাজ করে। স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া আবিস্কারের পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেশ ক’টি সংঘাত দেখা গেছে। নিম্নের এই উদাহরণটি এই প্রসঙ্গে খুবই প্রণিধানযোগ্য-



ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার লোগো এবং চটকদার ইনফোগ্রাফিক ব্যবহার করে সৈন্যদের নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার একটি রাস্তা ম্যাপ আকারে উপস্থাপন করা হয়। জরুরি সতর্ক বার্তা দিয়ে সেটি প্রচার করা হয়, ‘শত্রুরা খারকিভ ঘেরাও করে ফেলেছে। অতএব অত্র এলাকার বেসামরিক জনগণ যেন ২২ এপ্রিল ২০২৪ এর মধ্যে শহর ছেড়ে উল্লিখিত পথে পালিয়ে যায়’। এরপর যা হওয়ার তাই হয়েছে। সে পথে অনেক সৈন্য পা বাড়ায় এবং রাশিয়ার হাতে ইউক্রেনের অনেক সৈন্য নিহত হয়। অথচ এই সতর্কবার্তাটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা যা পরে প্রমাণিত হয়।



‘অপতথ্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পিচ্ছিল ঢাল’ শিরোনামে জন ফিফার নামক একজন গবেষক ৫ জুন ২০২৪ সালে একটি প্রবন্ধ লিখেন। প্রবন্ধটি পিপিআইএফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। তাতে তিনি মন্তব্য করেন, ‘পুতিনকে নিশ্চিতভাবেই ইউক্রেন ইস্যুতে বিশ্বাস করা যায় না। তিনি পশ্চিমা শক্তিকে অবমাননা করেছেন। রাশিয়া স্বার্থ-পরিপন্থি কোনো আন্তর্জাতিক আইন পুতিন কেয়ার করেন না। ফিফার তার প্রবন্ধে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, পুতিন বুদাপেষ্টের সমঝোতা চুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন’।


অন্যদিকে, ইসরায়েল বনাম প্যালেস্টাইন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অপতথ্য কিভাবে আমাদের বিশ্বশান্তি বিনষ্ট করছে; উদাহরন টেনে ড্যানিয়েনল হাওয়ালেশকা তাঁর প্রবন্ধ ‘গাজা যুদ্ধ : অপতথ্যের মাষ্টারক্লাস ব্যবহার’ শিরোনামে ২০২৩ সালের নভেম্বরের ৯ তারিখে অনলাইনে লিখেন, ‘আলজাজিরা অপতথ্য ছড়িয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করছে।



টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রচারিত অপতথ্য বিশ্ব শান্তি ধ্বংস করছে। তিনি তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে ইসরায়েল সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে ঠিকই, কিন্তু আলজাজিরার রিপোর্টার শিরিন আবু আকলেহকে ২০২২ সালে হত্যার পিছিনে ইসরায়েল নয়, দায়ী ফিলিস্তিনি সৈন্যরা। আবু ফিলিস্তিনি সৈন্যদের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন’। অথচ এর ঠিক কিছুদিন পর খোদ ইসরায়েল সরকার স্বীকার করে নেয় যে, একজন ইসরায়েলি সেনা তাকে গুলি করে হত্যা করে"। এই ধরনের প্রবন্ধ প্রকাশের পূর্বে ফ্যাক্টচেকিং এর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।



অপতথ্যের প্রভাব


ডিএমটি’র (ডিজিটাল মিডিয়া টেকনোলজি) ধূসর অঞ্চলের ক্ষতিকারক দিকগুলো মূল্যায়ন করে সহজেই অনুমেয় যে, এগুলো দ্বি-ধারী তরবারির মতো। সমাজের সকল স্তরে সমানভাবে এর প্রভাব বিদ্যমান। গার্হস্থ্য, নৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক, শিক্ষাগত, ধর্মীয়, দাম্পত্য, পারিবারিক, রাজনৈতিক এবং বন্ধুত্ব সহ নানান সম্পর্ক স্থাপনে ডিএমটিগুলোর রয়েছে সমান প্রভাব। বর্তমানে সমাজের কোন একটি স্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে এই অপতথ্য, কুতথ্য, মিথ্যাতথ্য কিংবা ভুয়াতথ্যের প্রভাব পড়েনি কিংবা এর দ্বারা বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমণের শিকার কেউ হননি।



এর আক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তি আপস করতে বাধ্য হন। তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাকে নৈতিকতা বিসর্জন দিতে হয়। ফলে উক্ত ব্যক্তির পারিবারিক জীবন বিনষ্ট হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁর শিক্ষাগত জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্মানের বিলোপ ঘটে। মনস্তাত্বিক সমস্যা দেখা দেয়। ভেঙে পড়ে মানসিক স্বাস্থ্য। তাছাড়া বন্ধুত্বের মাঝে সন্দেহ দানা বাঁধে, ফাটল ধরে এবং পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কটুকু বিনষ্ট হয়।



কেবল সমাজ নয়। আমাদের জাতিগত সম্পর্ক নষ্ট করছে এই অপতথ্য। এর প্রভাবে রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরছে। বিশ্বে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ যার মূল কারন এই অপতথ্য। বর্তমানে এর প্রভাবে গোটা পশ্চিমা দুনিয়া দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট করছে। এর ক্ষতিকর প্রভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ আমদানি-রফতানি, ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান গুনে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে মানুষকে। প্রতিনিয়ত অপতথ্যের কারণে বিশ্বের নানান জায়গায় অশান্তি বিরাজ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বদলে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মূল কারণ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া নানান অপতথ্য।


প্রস্তাবিত সমাধান


নিম্নোক্ত তিনটি উপায়ে এআই সৃষ্ট অপতথ্যের হাত থেকে ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব: ক) সর্বজনীন ডিজিটাল লিটারেসি চালু করার মাধ্যমে, খ) নিয়ন্ত্রক আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এবং গ) সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এআই এ্যালগারিদম ব্যবহারে কোলাবোরেশন গড়ে তোলার মাধ্যমে। নিম্নে এদের বিবরণ তুলে ধরা হলো :


ক) সর্বজনীন ডিজিটাল লিটারেসী চালু করার মাধ্যমে : দ্যা হেগ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাইবার পলিসি এন্ড রেজিলিয়ান্স প্রোগ্রামের পরিচালক ড. আলেকজান্ডার ক্লিমবার্গ এর মতে, "সাইবারজগত পরিভ্রমণের পূর্বে ব্যবহারকারীর নিজের মনোজগতে পরিভ্রমণ প্রয়োজন”। অর্থাৎ অপরাধ মোকালায় মানব মনের পরিশুদ্ধতা প্রয়োজন। এ কারণ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সাক্ষরতার একটি যথাযথ কন্টেন্ট/আধেয় তৈরি করে ভুল তথ্যের ক্ষতি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা আবশ্যক। ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যম ও ডিজিটাল সাক্ষরতাই হতে পারে সঠিক তথ্যের সাথে একটি সুস্থ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বড় দক্ষ এবং শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি মানুষের মনে দীর্ঘমেয়াদি একটি আস্থার সঞ্চার করে।


খ) নিয়ন্ত্রক আইন তৈরি ও প্রয়োগের মাধ্যমে : এআই-চালিত ডিএমটি’র মাধ্যমে অপতথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট প্রস্তুতকারক ও তার প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান এই উভয়কে যথাযথ আইনের আওতায় আনতে হবে। এর বিস্তার রোধে শক্ত বিধি-বিধান জারি করতে হবে। কিছু কিছু দেশে খুব ভাল আইন রয়েছে যার মাধ্যমে তারা তাঁদের নিজেদের দেশে অপতথ্য সৃষ্টি ও বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন, যেমন- মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন। কিন্তু এগুলোই পর্যাপ্ত নয়। ডিএমটি’র প্রভাব এখন বিশ্বময়। আর সমস্যাও বিশ্বব্যাপী। তাই বিশ্বজুড়ে সর্বজনীন একটি আইন থাকা বাঞ্চনীয়।


এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোড অব প্র্যাক্টিস অন ডিস ইনফরমেশন’ একটা আদর্শ উদাহরণ হতে পারে। তবে ঝামেলা এড়াতে সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হলো এআই চালিত ডিজিটাল মিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সাথে সোশ্যাল মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের একটি যৌক্তিক কোলাবোরেশন থাকা। জর্জ কে নামক একজন সমাজবিজ্ঞানী এই দু’য়ের কোলাবোরেশনে অপতথ্য সৃষ্টি ও রোধে ভাল ফল পাওয়া যাবে বলে মত দেন।


তিনি দাবি করেন, এতে উভয়ই সমস্যার গভীরে প্রবেশ করে এবং প্রাপ্ত ফলাফল সমান ভাগে ভাগ করে নেয়। ক্যাটরিনা কে, নামক আরেকজন গবেষক তার এক প্রবন্ধে বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত ডিউক ল্যাব রিপোর্টের পরিসংখ্যন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশে মোট ১৯৪টি ফ্যাক্টচেকিং প্রকল্প সক্রিয় আছে। তার লেখায় এমন একটি এআই কৌশলের কথাও বলা আছে যেটি নকল বট অ্যাকাউন্টগুলির জন্য সঠিক স্ক্রিনিং করে তা শনাক্ত করতে সফল। বট নামের এই কৌশলগুলি ‘স্পটিং এবং বট-লেবেলিং নামে পরিচিত "।


প্রযুক্তি-নির্ভর অপতথ্য স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সহায়তায় সমাধান করাই শ্রেয়। ভুয়া টেক্সট পাঠিয়ে যেমনি এআইকে বিতর্কিত করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি এটি সনাক্তকরণের কাজেও এআই টেক্সট জেনারেটর সবচেয়ে ভালো কৌশল। অর্থাৎ কাটা দিয়ে কাটা তুললে আস্থার শঙ্কটে পড়তে হয় না। সারাহ ক্রেপস নামক এক লেখিকা তার ‘অনলাইনে ভুয়া তথ্য ও প্রযুক্তির ভুমিকা" শীর্ষক এক নিবন্ধ্বে বিষয়টি উল্লেখ করেন।


গ) এ্যালগারিদম ব্যবহারে কোলাবোরেশন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে : যেহেতু মেশিন-লারনিংএ্যালগারিদমের সাহায্যে হুবহু মানুষের মস্তিস্ক অনুকরণে নিউরাল নেটওয়ার্ক নিজেই সিন্থেটিক টেক্সট তৈরি করে। তাই আগাম একজন মানুষের টেক্সট অভ্যাস, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং ঐ ব্যক্তির বিদ্রূপ, ঠাট্টা, কথার মারপ্যাচ এগুলো নিউরাল নেটয়ার্ক থেকেই উদ্ভূত হয় বিধায় ব্যক্তিকে শনাক্তকরণে এআই ভুল করে না। এআই এর জন্য অ্যালেন ইনস্টিটিউট গ্লোভার নামে একটি প্রতিষ্ঠান যে মডেলটি তৈরি করেছেন, সেটি শুধুমাত্র নিউরাল ফেইক নিউজই তৈরি করে না; বরং তা চিহ্নিত করে এবং মানব ও মেশিনের লিখিত তথ্য ৯২% নির্ভুলতার সাথে শনাক্ত করে থাকে। ভুলতথ্য ফিল্টার করার কাজে কিছু ফ্যাক্ট-চেকিং সফটওয়্যার যেমন, পলিটিফ্যাক্ট, মিডিয়া বায়াস, হোক্সি, নিউজ গার্ড, ফুল ফ্যাক্ট এবং ক্লেইম বাস্টার ইত্যাদি সাধারনভাবে প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত করে ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য সমমনা প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজেদের মাঝে একটি শক্ত কোলাবোরেশন গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া অপতথ্য ফিল্টার করে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে নতুন প্রজন্মকে অ্যালগারিদম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।


উপসংহার


পরিশেষে বলা যায় যে,যেহেতু এআই-চালিত মিডিয়া প্রযুক্তিগুলো দ্রুত বিবর্তিত হচ্ছে এবং বিকৃত তথ্যের সৃষ্টি, প্রসার, প্রভাব এবং উপস্থাপনা ক্রমান্বয়ে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই আজ এটি বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এআই নিজেই অত্যাধুনিক এ্যালগারিদম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর অপতথ্যের জাল বুনছে, দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিচ্ছে। তাই এটি শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণে যথাযথ আইনের প্রয়োগ, কোলাবোরেশন, প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল লিটারেসি শিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। একটি সুস্থ ডিজিটাল সমাজ-কাঠামো গড়তে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ডিজিটাল লিটারেসি সচেতন শিক্ষিত সমাজ থাকা বাঞ্চনীয়। এআই ব্যবহার করে অপতথ্য সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেয়ার পরিবর্তে তা মানব কল্যাণে ব্যবহার করলে সকলের কল্যাণ সাধিত হবে।


লেখক : প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়


ইমেইলঃ [email protected]


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com