নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার পরবর্তী তারিখ ধার্য করে আদালত।

ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবির এ আদেশ দেন।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হুইলচেয়ারে করে এই আদালতে উপস্থিত করা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে এ কারাগারেই বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তাকে গত সপ্তাহে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়।

আদালতে আজ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে আংশিক শুনানি হয়েছে। এ সময় আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সময় আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। তার এ আবেদনে সমর্থন দেন খালেদা জিয়া।

শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রশ্ন রাখেন, আমার মামলাগুলো কেন এত দ্রুত বিচার করা হচ্ছে? কয়টা মামলা দ্রুত বিচারে নিষ্পত্তি করা হয়েছে? সেভেন মার্ডার (নারায়ণগঞ্জের সাত খুন) কি দ্রুত বিচার আইনে হয়েছে? বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে সবকিছু চলছে।

খালেদা জিয়া নির্বাচনের পর অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে আমার নেতাকর্মীরা ব্যস্ত থাকবেন। কেউ আসতে পারবেন না। এ কারণে নির্বাচনের পর শুনানির দিন ধার্য করা হোক।

এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পরবর্তী তারিখ ৩ জানুয়ারি ধার্য করে আদালত।

এ মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

বিবার্তা/জাকিয়া

>>নাইকো দুর্নীতি মামলা: হুইলচেয়ারে করে আদালতে খালেদা জিয়া