কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য চালিয়েছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে ফুটওভার ব্রিজে ঝুলিয়ে রেখেছে যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।

বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে, দেশের এই ক্রান্তিকালে নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে ঢাকা-৪ এর ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিদর্শন করতে যান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি।

২৭ জুলাই, শনিবার নেতা-কর্মীদের নিয়ে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জড়ো হয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন সানজিদা খানম। পরিদর্শনকালে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নেন।

পরে তিনি শ্যামপুর পালপাড়া এলাকার শ্রী শ্রী বঙ্ক বিহারী রাধারাণী মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেখানে বসবাসরত সনাতন ধর্মালম্বীদের খোঁজ-খবর নেন, তাদের কথাবার্তা শোনেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এদিন কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি-জামাতের বর্বরোচিত হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান হুইপ এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি।

সেখানে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমানকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডাক্তারের নিকট খোঁজ নেন। এসময় তিনি যে সকল নেতৃবৃন্দ সাহসিকতার সাথে নিজের জীবন বাজি রেখে বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে দেশের এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করেছেন- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

পরে তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনকে দেখতে যান, তার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।

এসময় তিনি জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিবার্তা/মোবারক/এইচআর/এমজে