
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের নতজানু নীতির কারণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বর্তমান সরকারের ‘অভিন্নহৃদয় বড় বন্ধু’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়।
২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএসএফ’র বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করতে পারেনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের ওপরেও বর্তায়। তাদের নতজানু নীতির কারণে বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে। সোমবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে।
প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, দেশের আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে শেখ হাসিনার কোনো যায় আসে না। তার সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশবিদেশে সর্বজনবিদিত। বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এতদিন যা মনে করেছে তা মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হাসান মিয়াসহ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। নিহত হাসান মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]