রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৪২
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, হেফাজত নেতা মামুনুল হক ও মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমানসহ রাজবন্দীদের মুক্তি, নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।


২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জীশান মহসীন।


সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের অপকর্মের জন্য আজ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা-স্যাংশন-অবরোধ দিচ্ছে। এর সম্পূর্ণ দায় ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের। তারা এখন আবার একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা করছে। তাদের কারণে বাংলাদেশ আজ অর্থনীতিক-কূটনৈতিকভাবে পুঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। তারা আবারও একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশকে উত্তর কোরিয়া-চীন-রাশিয়ার মতো একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। ভারতের আশকারায় বিরোধী মতকে দমন-পীড়ন করছে।


গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা অনবরত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও তারা বিদেশি রাষ্ট্রদূতের উপর হামলা করেছে- যা কোন সভ্য রাষ্ট্রে অসম্ভব। আওয়ামী লীগকে বলতে চাই, কোন ধরণের গুণ্ডামিতে আর কাজ হবে না। আপনাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে দেশি-বিদেশি গণতন্ত্রপন্থিরা। এখন আপনাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হবে- যত দ্রুত সম্ভব পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেয়া। অন্যত্থায় আর কিছুদিন পর পালানোর জায়গাটুকুও পাবেন না।


সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক ব্যারিস্টার জীশান মহসীন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের আইন আদালত প্রশাসন গণমাধ্যম অর্থনীতি ইত্যাদি সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন তারা নিজেরাও ধ্বংসের খুবই দ্বারপ্রান্তে। ভোট ডাকাতির দিন শেষ। করুণ পরিণতি ভোগ না করতে চাইলে দ্রুত ক্ষমতা ছাড়ুন।


গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণ ও বিদেশি বন্ধুদের আর আপনাদের হুমকিতে কাজ হবে না। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ হবে।


গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্ণেল (অব) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, জনগণ ফুঁসে উঠছে। সময় কিন্ত আর বেশি নাই। পরে কিন্ত পালানোর সময়ও পাবেন না। গণতন্ত্রের জন্য এবার যত রক্ত প্রয়োজন-আমরা তা দিতে প্রস্তুত আছি। এই স্বৈরাচার সরকারকে এক বিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ইমাম উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, পাঠান আজহার, সহকারী আহ্বায়ক এডভোকেট শিরিন আকতার শেলী, যুগ্ম সদস্য সচিব মো তারেক রহমান, সহকারী সদস্য সচিব শেখ খায়রুল কবির, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, আহমেদ ইসমাইল বন্ধন, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফার্মাসিস্ট মোজাম্মেল মিয়াজী, শামীম রেজা, রাহাত জাহান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. ইমাম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের নেতা রাসেল খন্দকার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমতুল্লাহ, ছাত্রনেতা শাহ মুহাম্মদ সাগর প্রমুখ।


বিবার্তা/এমই/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com