রাজনীতি
গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াকেও আসামি করা উচিত: হানিফ
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৩৮
গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াকেও আসামি করা উচিত: হানিফ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকেও আসামি করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।


তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে কিন্তু কুচক্রী তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এই মামলা এখন উচ্চ আদালতে আছে, আমাদের দাবি এই মামলা রিভিউ করে তারেক রহমানের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হোক। মামলায় খালেদা জিয়ার নামও থাকা উচিত ছিল। কারণ সেসময় তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় তার। তাই বেগম খালেদা জিয়াকেও আসামি করে বিচার হওয়া উচিত।


মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কমলাপুর ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।


মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, পাপ কাজ করে রেহাই পাওয়া যায় না। পাপের খতিয়ান বের হয়ে আসছে। গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিট হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। মুফতি হান্নানসহ আসামিরা জবানন্দিতে বলেছে, হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট বোমা হামলার পরিকল্পনার করা হয়েছিল। আর তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রটেকশনের ব্যবস্থা করেছিলেন।



২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক ছিল- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, গতাকল (২১ আগস্ট) ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় দিবস। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশে পৃথিবীর ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল। একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। এই মির্জা ফখরুল নাকি শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষক পেশা সারা পৃথিবীর মধ্যে নোবেল প্রফেশন। একজন শিক্ষক কীভাবে এত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে পারে। মির্জা ফখরুল বলেছেন ২১ আগস্ট ছিল আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক ছিল। মির্জা ফখরুল চরম মিথ্যাবাদী একজন মানুষ। এরকম মিথ্যাচার কেউ করতে পারে আমার জানা ছিল না।


উনি বললেন আওয়ামী লীগের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে। কী মিথ্যাচার! সেই সময়কার প্রত্যেকটা পোস্টারে লেখা ছিল আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। ২১ তারিখ সকালে পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। তাদের নেতা লম্পট, খুনি তারেক রহমান ভাবছে লন্ডনে বসে মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবে। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। এগুলো রেকর্ড ডকুমেন্টেড। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এত বড় মিথ্যাবাদী আর কাউকে দেখিনি, বলেন তিনি।


আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২১ আগস্ট নির্মম গ্রেনেড হামলার পর পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করল। সব আলামত নষ্ট করে দিল। যদি বিএনপি নেতারা না জড়িত থাকে, মন্ত্রীরা যদি না জড়িত থাকবে তাহলে তড়িঘড়ি করে কেন সব আলামত মুছে দিলেন। পরের দিন মামলা করতে গেলে পল্টন থানা গেলে বলা হলো মতিঝিল থানায় যান। মতিঝিল থানায় যাওয়ার পর জানানো হলো ওপরের নির্দেশ না থাকায় মামলা নেয়া যাবে না। মামলা পর্যন্ত তারা নেয়নি। ২৪ জন মানুষকে হত্যা করা হলো। মামলা হলো না কার স্বার্থে?


বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এই বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে না। এই হত্যা ছিল মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম পাকিস্তান ও তাদের প্রভু পশ্চিমা রাষ্ট্র যারা সরাসরি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ।


তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য ক্যু হয়েছে কিন্তু কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে পরিবারসহ বিশেষ করে পরিবারের নারী ও শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বাংলাদেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। এর একটাই কারণ একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া। আমাদের দুর্ভাগ্য এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তারা সবাই ছিল বাঙালি। মীরজাফরের বংশধর, পাকিস্তানের এজেন্ট। স্বাধীনতার পক্ষের কোনো মানুষ তাকে হত্যা করতে পারে না।


হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্ত আত্মস্বীকৃত খুনি ফারুক, রশীদ, ডালিম, হুদা এরা ছিল ভাড়াটিয়া। এই হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশে কো-অর্ডিনেটর ছিল খুনি জিয়া। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া যে জড়িত ছিল তার একাধিক প্রমাণ রেখে গেছেন।



আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, জিয়া যে পাকিস্তানের এজেন্ট এটা একাত্তরে ধরা পড়েছিল। আর ধরা পড়ার কারণে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী তাকে বহিষ্কারও করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধরত বাঙালিরা যাতে মনোবল না হারায় সেজন্য সরকারের অনুরোধে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।


হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মে ঢাকা থেকে পাকিস্তানের বিগ্রেড কমান্ডার আসলাম বেগ, জিয়াকে একটা চিঠি লিখেছিল যেটা এখন ইতিহাসের দলিল। জিয়াকে লেখা চিঠিতে আসলাম বেগ লিখেছিলেন, উই আর হ্যাপি উইথ ইউর জব। গো এহেড, উই উইল এ্যাসাইন মোর জব। এর মানে আমরা তোমার (জিয়া) কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। জিয়া এমন কী কাজ করেছিলেন যে পাকিস্তানের ব্রিগেড কমাণ্ডার তার ওপর খুশি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরে পাকিস্তানিদের সাথে দেখা হলে গোলাগুলি ছাড়া আর কিছু হয়নি। সেই সময়ে এত বন্ধুত্ব থাকার তো কিছু নয়। তিনি কোন কোন কাজ করছিলেন? এতেই প্রমাণ হয় জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট।


তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব ছিল সিলেটে। আমি সিলেটে বহু জায়গায় জনসভা করেছি। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভবাজার, সুনামগঞ্জে জনসভায় জিজ্ঞেস করেছ জিয়া পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে জানা আছে কিনা আমাকে জানায়েন। জিয়া যুদ্ধ করেছে আমি ইতিহাসে এমন তথ্য পাইনি। আজ পর্যন্ত কেউ জানাতে পারেনি। তাহলে জিয়া যুদ্ধের সময় কী করেছিলেন- প্রশ্ন রাখেন তিনি।


হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় না এনে বরং তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিলেন। খুনি ফারুক, রশীদ দেশে-বিেদেশে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে বারবার বলেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে তারা একাধিকবার জিয়ার সাথে বৈঠক, পরিকল্পনা করেছে। জিয়া তাদের উৎসাহ, নির্দেশনা দিয়েছেন। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন এটাই তার বড় প্রমাণ। আর না হলে খুনিদের বিচার না করে কেন দূতাবাসে নিয়োগ দিবে, প্রমোশন পুর্নবাসন করবে।


জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করেছিলেন এমন অভিযোগ করে হানিফ বলেন, জিয়া ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করলেন কাদের নিয়ে? পাকিস্তানের আদর্শের জন্য যারা লড়াই করেছে তাদের দিয়ে মন্ত্রিসভা করলেন। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে করলেন প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলিমকে বানালেন মন্ত্রী। যারা একাত্তরে গণহত্যা জড়িত ছিল এরকম সাড়ে ১১ হাজার রাজাকার আলবদরদের দালাল আইন বাতিল করে মুক্ত করে দিলেন।


কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিলেন। আর যাদের কারণে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ হাারাতে হয়েছিল, মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল সেই জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন। এতে প্রমাণ হয় জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করেছেন, বলেন হানিফ।


তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শিহরণ, প্রেরণা জাগাত সেই স্লোগান নিষিদ্ধ করলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামই নিষিদ্ধ করলেন। যে ব্যক্তি সারাজীবন বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করলেন তার নাম মুছে দেয়া হলো৷ ৩০ লাখ শহীদের আত্মাকে পদদলিত করে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের দেশ প্রতিষ্ঠা করলেন।


হানিফ বলেন, আজকে তার হাত ধরে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার কুপুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবাদের্শ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। খুনি জিয়া পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে আর তার স্ত্রী ও ছেলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে গণহত্যা চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেব, টঙ্গীর আহসানহল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজ উদ্দিন, খুলনার মঞ্জুরুল ইমামকে প্রকাশ্যে গুলি, বোমা মেরে হত্যা করেছিল৷ প্রায় ১০ হাজার নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাদের অপরাধ ছিল একটাই তারা স্বাধীনতার পক্ষে নৌকায় ভোট দিয়েছিল।


বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের দেয়া বার্তার কারণে বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলি, ভারত সরকার থেকে মার্কিন প্রশাসন জো বাইডেনকে বার্তা দিয়েছে। কী বার্তা— যদি দুর্বল করা হয় সকলেই অস্বস্তির মুখে পড়তে পারে। তিনদিন আগে বলেছেন বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। যখনই আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র আহবান জানিয়েছে তখনই তার মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাদের মুখ গোমরা হয়ে গেছে, কারো মুখে হাসি নাই। ভাতের মধ্যে ছাই ঢেলে দিয়েছে। আপনার প্রভুর দেশের একটা সংস্থার জরিপে এসেছে দেশের শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থাশীল।


দেশের মানুষ পিছন ফিরে যেতে চায় না মন্তব্য করে হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশকে আবার পিছনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। কোন বাংলাদেশে আপনারা নিয়ে যেতে চান? ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বাংলাদেশ নাকি পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে উন্নয়ন-অগ্রগতি নাই। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। এই রকম জঙ্গিরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না।


দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সমস্ত অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। সকল অশুভ শক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো, আজকে এটাই হোক আমাদের শপথ, অঙ্গীকার।


আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক কেএম আজম খসরু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম মাসুদ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।


আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।


বিবার্তা/সোহেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com