গণতন্ত্রকে কবর দেয়া বিএনপি এক এগারো সৃষ্টি করেছিল: হানিফ
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৫
গণতন্ত্রকে কবর দেয়া বিএনপি এক এগারো সৃষ্টি করেছিল: হানিফ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

গণতন্ত্রকে কবর দেয়া বিএনপি এক এগারো সৃষ্টি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।


বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।


মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই দিনে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে কর্মসূচি দিচ্ছে। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত আপনারা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন সেই সময়ে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছিলেন।


তিনি বলেন, বিএনপি এই বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, দুর্নীতির রাষ্ট্র বানিয়েছিলেন। আর আপমাদের অপকর্ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতা দখলের কারণেই এক এগারোর সৃষ্টি হয়েছিলো। গণতন্ত্রকে পদদলিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন।


হানিফ বলেন, আর আজকে আপনারা বলছেন জনগন মাঠে নেমেছে। জনগণ ২০০৬ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মাঠে নেমেছিল। সেই জনগণ এখনও আছে। জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে সবসময় রাজপথে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।


১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে স্বাধরনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হয়েছিলো। কিন্তু বাঙালি জাতি বিজয়ের পরিপূর্ণ স্বাদ নিতে পারেনি। কারণ বাঙালি জাতি জানতো না বঙ্গবন্ধু কোথায় আছেন। তিনি জীবিত না তাকে হত্যা করা হয়েছে।



তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন হয়ে ভারতে পৌঁছেন। সেসময়ে ইন্ধিরা গান্ধীসহ ভারতের কেবিনেট সদস্যদের উপস্থিতিতে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রমর্যাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানানো হয়।


আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ জানুয়ারি বিকেলে জাতির পিতা বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের, অনেক বড় পাওয়া ছিল। লাখ লাখ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে বরণ করতে বিমানবন্দর গিয়েছিলেন।


হানিফ বলেন, তিনি দেশে এসে পরিবারের কাছে যাননি। বাংলার মানুষকে ভালোবাসতেন বলে আগে মানুষের মাঝে এসেছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের সমুদ্রে এসে তিনি বলেছিলেন, আমি এ বাংলার মাটি, মানুষকে ভালোবাসি। জানতাম না ফিরে আসতে পারবো কিনা।


তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশে আসার পর থেকে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করে। সাড়ে তিন বছর সময় পেয়ে দেশকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আবার বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল।


তিনি আরো বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আবার আলোর পথে যাত্রা শুরু করি।


মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই বাংলাদেশ পাকিস্তানের দোসর রাজাকার, আলবদরদের নয়। একাত্ততরে ফয়সালা হয়ে গেছে এই দেশ হবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিদের এই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না, উঠতে দেয়া হবে না।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।


বিবার্তা/সোহেল/বিএম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com