শিরোনাম
মেঘে ঢাকা নীলাচল
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০১৯, ১৮:০৭
মেঘে ঢাকা নীলাচল
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বৃষ্টির সময় প্রকৃতি যেন তার সবটুকু রূপ ঢেলে দেয় বান্দরবানে। এই সময় পাহাড়ের সবুজ গালিচার ওপর আপনার আগমনে যোগ হবে ভিন্ন মাত্রা। বান্দরবানের কোনো এক জায়গায় বসে দূর পাহাড়ে ঝুম বৃষ্টি দেখে মনে ঘোর লেগে যাবে। সত্যি তো এবার নিশ্চয়ই মন চাইছে আপনার মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে।


তবে আর দেরি কেন, জীবনের ছক থেকে বেরিয়ে হারিয়ে যেতে পারেন নীলাচলের মেঘে ঢাকা পাহাড়ে, মেঘলা লেকের স্বচ্ছ জলে, ভাসাতে পারেন ডিঙি নৌকা অথবা ঘুরে আসতে পারেন চিম্বুক পাহাড়ের আদিবাসীদের গ্রামে।



বর্ষা এলেই বান্দরবানের উঁচু পাহাড়গুলোকে সারাক্ষণই ছুঁয়ে যায় জমাট বাঁধা মেঘের সারি। দেখে মনে হয় মেঘ আর পাহাড় একে অপরের সঙ্গে নিজ ভাষায় সুখ-দুঃখের যেন গল্প করছে। বান্দরবানের নীলাচল , নীলগিরি, চিম্বুক, বগা লেক, দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং, তাজিংডংসহ বিভিন্ন স্পটে দাঁড়িয়ে বর্ষায় মেঘের স্পর্শ পাওয়া যায়। এ ছাড়া বান্দরবান থেকে থানচি পর্যন্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করলেও মেঘের দেখা মেলে। নীলগিরি কিংবা চিম্বুকে দাঁড়ালে মেঘ যে-কাউকে আপনা থেকেই ছুঁয়ে যাবে।


এই বর্ষায় এক ভিন্ন রূপেই দেখা যায় এ পর্যটন শহরকে। আমাদের দেশের ভ্রমণ পিয়াসুরা ভ্রমণের জন্য শীত মৌসুমকে বেছে নিলেও হয়তো অনেকেই জানেন না বৃষ্টির সময় পাহাড়ঘেরা জেলাটি যেন একটি সবুজ কার্পেটের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। যেদিকে দু’চোখ যাবে সবুজে সবুজে বর্ণিল এক নতুন সাজ ধরা দেবে আপনার কাছে।


বান্দরবান শহরের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র সম্ভবত নীলাচল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬শ’ ফুট উঁচু এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ কি হেমন্ত— তিন ঋতুতে ছোঁয়া যায় মেঘ।


কীভাবে যাবেন


রাজধানী থেকে সড়ক পথে সরাসরি বান্দরবানে যাওয়া যায়। ঢাকার ফকিরাপুল, কমলাপুর ও সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন ও বিআরটিসির এসি বাস যায়।


এছাড়া এসব জায়গা থেকে শ্যামলী পরিবহন, সেন্টমার্টিন, সৌদিয়া পরিবহন, এস আলম পরিবহন, ইউনিক সার্ভিসের নন এসি বাসও যায় বান্দরবান।


এছাড়া সড়ক, রেল কিংবা আকাশ পথে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছে সেখান থেকেও সহজেই যাওয়া যায় বান্দরবান। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে পূরবী, পূর্বানী পরিবহনের বাস সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করে।


বান্দরবান শহর থেকে নীলাচল যাওয়ার জন্য ভাড়ায় পাওয়া যায় অটো রিকশা, চাঁদের গাড়ি (খোলা জিপ) ও জিপ। দলের আকার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বাহনটি ভাড়া নিতে হবে। এরপর বান্দরবন শহরে জীপ পাওয়া যায় ভাড়ায়। জীপে করে চিম্বুক পর্বতমালা দিয়ে সোজা নীলাচল।


কোথায় থাকবেন


প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অপার সমাহার বান্দরবান। যেখানে প্রকৃতি নিজ ঐশ্বর্যকে ঢেলে দিতে কৃপণতা করেনি। পাহাড়ি এ জেলায় রয়েছে অসংখ্য হ্রদ, ঝরনা, নদী। এখানকার জীববৈচিত্র্য এবং তাদের ঐতিহ্যপূর্ণ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি যেকোন সংস্কৃতি মনা ও ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে কাছে টানে সহজেই।



হোটেল হিল ভিউ


বান্দরবানে প্রবেশ করতেই দেখতে পাবেন শহরের সবচেয়ে বড় আবাসিক হোটেল হিল ভিউ। শহরের কাছেই এ হোটেলের ভাড়া রুমপ্রতি ১০০০-৪০০০ টাকা। ফোন: ০৩৬১-৬৩০৪৫।


পর্যটন মোটেল


পর্যটন স্পট মেঘলার পাশেই পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত পর্যটন মোটেল। যার ভাড়া রুম প্রতি ৮৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং ০৩৬১-৬২৭৪২।


হলিডে ইন


চারিদিকে পাহাড় আর প্রাকৃতিক লেকের কাছাকাছি থাকতে চাইলে যেতে পারেন মেঘলার কাছেই অবস্থিত হলি ডে ইন এ। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬


ভেনাস রিসোর্ট


বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত ভেনাস রিসোর্ট। যেখানে রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় ৫টি আধুনিক কটেজ। এছাড়াও রয়েছে ভেনাস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, যেখানে দেশি-বিদেশি মজাদার সব রকমের খাবার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শৈল্পিক ছোঁয়া এবং একাধিক ছোটবড় ভাস্কর্যে সাজানো হয়েছে ভেনাস রিসোর্ট। ফোন- ০৩৬১-৬৩৪০০, ০১৫৫২৮০৮০৬০।


হোটেল প্লাজা


এটি বান্দরবানের অন্যতম আধুনিক আবাসিক হোটেল। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এ হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন ১০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬৩২৫২।


হিলসাইড রিসোর্ট


চিম্বুক যাওয়ার পথে মিলনছড়ি এলাকায় পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা এ রিসোর্ট বান্দরবানের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত। যেখানে বসে পাহাড়, নদী আর মেঘের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন সহজেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যেই। ফোন: ০১৫৫৬৫৩৯০২২, ০১৭৩০০৪৫০৮৩।


সাকুরা হিল রিসোর্ট


চিম্বুক রোডের মিলনছড়ি এলাকার কাছাকাছি এ রিসোর্ট অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। প্রাকৃতিক ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে থাকতে চাইলে এ রিসোর্ট এর কোন বিকল্প নেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত।


হোটেল ফোর স্টার


এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। রুম প্রতি ভাড়া ৩০০-১২০০ টাকা। ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১,০১৫৫৩৪২১০৮৯।


হোটেল থ্রী স্টার


এটি বান্দরবান বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত। এটি ৮/১০ জন থাকার মতো ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। ফোন:- ০১৫৫৩৪২১০৮৯।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com