দার্জিলিং বা কার্শিয়ঙের ভিড় এড়াতে অনেকেই খোঁজ করেন স্বল্প পরিচিত নিরিবিলি কোনও পর্যটনকেন্দ্র। শহুরে কোলাহল এড়িয়ে কয়েকটি দিন পাহাড়ে কাটাতে চান? আপনার জন্য রইল অচেনা পাহাড়ি গ্রামের হদিস।
শান্ত, নিরিবিলি, ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। হাওয়া-পানি বদল করতে ঘুরে আসতে পারেন দাওয়াইপানি। 'দাওয়াই' কথাটার অর্থ ওষুধ। আর 'পানি' মানে জল-হাওয়া। দাওয়াইপানির অর্থ হল ঔষধি জল। সুতরাং উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে এলে আপনার শরীর আর মন দুটোই ভাল হয়ে যাবে নিমেষে।
ঘুম স্টেশন থেকে মিনিট কুড়ির দূরত্বের এই গ্রামের নামকরণ হয়েছে সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর থেকে। নদীটির জল নাকি নানা রকম খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।
গ্রামের মানুষ ওই জল পান করেই নাকি রোগমুক্ত থাকেন। তবে রোগমুক্তি হোক না হোক, দাওয়াইপানিতে ছুটি কাটাতে গেলে চোখের আরাম হবেই হবে।
গোটা গ্রামটি থেকেই দেখতে পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। স্পষ্ট দেখা যায় নামচির চারধাম।
সূর্য ডোবার পর উল্টো দিকের পাহাড়ে দেখতে পাবেন অসংখ্য প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে কেউ। ওগুলি আসলে প্রদীপ নয়, রাতের দার্জিলিঙের মনকাড়া ছবি ভাসে চোখের সামনে।
প্রায় ৬ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে যে সাদায় মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখা যাবে তা বলা বাহুল্য। বরং বলা চলে, দাওয়াইপানি থেকে ধরা দেবে হিমালয়ের এক প্যানোরমিক ভিউ। তার মধ্যে নেপাল ও ভুটান হিমালয়ের নামজাদা শৃঙ্গও রয়েছে।
কাছেই রয়েছে গ্লেনবার্ন, লামহাট্টা ও তাকদহ চা বাগান। চাইলে এক দিন গাড়ি করে ঘুরে নিতে পারেন দার্জিলিং শহরটাও।
দাওয়াইপানিতে বসে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দেখতে পাবেন। সূর্যোদয়ের ছটায় ভোর হয় দাওয়াইপানিতে। তারপর সারাটা দিন জুড়ে শোনা যায় পাখিদের কলরব। আর সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই কমলা আলো মায়াবি পরিবেশ তৈরি করে গ্রাম জুড়ে। অন্ধকার নামলেই নীচে থাকা দার্জিলিং আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে।
দাওয়াইপানির নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি খরস্রোতা নদী। সেখানে ব্রিটিশদের তৈরি করা একটি সেতুও রয়েছে। ইচ্ছা হলে পাহাড়ি গ্রামের রাস্তা ধরে ঘুরে নিতে পারেন। যদিও দাওয়াইপানি শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশ আপনাকে এই গ্রামের প্রেমে ফেলতে বাধ্য।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]