ক্ষণ ক্ষণে শীতের শেষে সৈকতে পাড়ে এখন মানুষের ভীড় । কিন্তু এই তীব্র গরমে সমুদ্র জলে গা ভাসিয়ে পর্যটকরা নিচ্ছেন বাড়তি আনন্দ। কেউ গোসলে কেউ ওয়াটার বাইকে চড়ে উপভোগ করছে এই বিশাল সমুদ্র। বালিয়াড়িতে পা পেলে ছুটাছুটি করছে শিশুরা কারোর খেলার সাথী হয়ে উঠেছে সৈকতের বালিয়াড়ি। ছবি তুলা বীচ বাইক থেকে শুরু করে নানান ডংয়ে উপভোগে ব্যস্ত পর্যটক । এ ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে কক্সবাজার সৈকতে ছুটে এসেছেন লাখো পর্যটক। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে স্থানীয়রাও।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট গিয়ে দেখা যায়, শুক্র শনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস আদালত বন্ধ থাকায় সৈকতে পর্যটকের ভীড়। সমুদ্রের লোনা জলে স্নান করছেন লাখো মানুষ। পুরো সৈকত দাপিয়ে বা সমুদ্রের নীল জলরাশিতে পর্যটকরা খুঁজে পেয়েছেন যেন স্বর্গীয় সুখ। একই অবস্থা সুগন্ধা ও কলাতলী বিচ সেখানেও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন সমুদ্রসৈকতে ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে চলে যাচ্ছেন লাখো মানুষ। এই ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মালিকরা জানান, শুক্রবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা দুইদিন সরকারি ছুটি।কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে।
অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হাজারো পর্যটককে ভিড় করতে দেখা গেছে। কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। পর্যটকরা যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন। পর্যটন মৌসুমে বিনোদন প্রেমীদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য ও লাইফগার্ড কর্মীরা। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।
বরিশালের থেকে আসা পর্যটক মদিনা আহমেদ অপ্সরী বলেন, পরিবার- পরিজন নিয়ে সৈকতের পাড়ে এসেছি। সাগরের এই বিশালতা আর আকাশ টা পানির সাথে যেনো মিশেই আছে এটাই সৈকতের মুগ্ধতা। আর মুক্ত হাওয়া ও সামুদ্রিক মাছ অসাধারণ। খুবই ভালো লেগেছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস রেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, শুক্রবারে কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ একটু বেশিই থাকে। আজকে কক্সবাজারে লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। তবে রোববার থেকে সেই সংখ্যা অনেকটা কমে যাবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, ছুটির দিনে কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ একটু বেশি হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম।
কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে আছি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিবার্তা/তাফহীমুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]