শিরোনাম
পাহাড় চূড়ায় মেঘের ছোঁয়া
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০০
পাহাড় চূড়ায় মেঘের ছোঁয়া
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চির সবুজেঘেরা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। সারা বছরই মেঘে ছেয়ে থাকে। পাশেই বিশাল সমুদ্র আর পাহাড়। সবুজের মাখামাখি। এখানে মেঘের খেলা চলে হরহামেশা। ছোট-বড় পাহাড়-টিলা আর সামনে একটু নিচু এক পাহাড়ের চূড়ায় একটি মন্দির দেখতে একবারে খেলনা বিন্দুর মতো।


সীতাকুণ্ডে অবস্থিত চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরের একটি প্রাচীন ও বিখ্যাত মন্দির। সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। হিন্দু এলাকা। সীতাকুণ্ড বাজার দিয়ে ছোট্ট মেঠোপথ গিয়ে ঠেকেছে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।


মাত্র ২ কিলোমিটার দূরত্বে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ২০০ ফুট উঁচু কাঁচা মাটির পথ পেরিয়ে মন্দিরে যেতে হয়। চন্দ্রনাথ মন্দির হিন্দুদের জন্য পবিত্র স্থান। যার পুরো নাম ছিল সীতার কুণ্ড মন্দির। দক্ষিণে বিস্তীর্ণ সাগর আর পাহাড়ের সৌন্দর্যে আবৃত এই মন্দির।


মন্দিরের পথ ধরে প্রথমেই পড়বে ভবানী মন্দির। তারপর শয়মভুনাথ, এরপরই দুর্গম এলাকার পাহাড় কেটে বানানো উঁচু সিঁড়ি। পথে পড়বে বটগাছের প্রাচীন দুটি মন্দির। পুরো দৃশ্যটিই যে শিল্পীর নিখুঁত কারুকাজ। ৯৯৬ একর উঁচু-নিচু পাহাড় বেষ্টিত এই পার্কে রয়েছে অসংখ্য প্রজাতির গাছ-গাছালি ও পশুপাখি। মায়া হরিণ, ভাল্লুক, শূকর, শিয়াল, হনুমান, বন্য কুকুরের চলাফেরার দৃশ্য আপনার মনে বিশালতার এক অনুভূতির জম্ম দেবে!


স্মৃতিবিজড়িত এ পাহাড়ঘেরা বন-বনানীতে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদও। পাহাড় বেয়ে চলা মাঝে-মধ্যে পিচঢালা পথের পাশে মোটেলে বিশ্রাম হয়তো আপনাকে দেবে অনাবিল আনন্দ।


সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের ভেতর দিয়ে ঝিরি পথ ধরে হাঁটতে একটু কষ্টই হবে। জায়গাটা নির্জন। এ পথে প্রায় ১৫ মিনিট হাঁটার পর ঝরনাধারার শব্দ কানে ভেসে আসবে। একটু সামনে এগুলেই নিজের চোখকে হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। পাহাড়ের আড়ালে লুকানো এত সুন্দর ঝরনা! পুরো ঝরনাটিই হরম পানির ঝরনা।



কীভাবে যাবেন


ঢাকা থেকে বাস-ট্রেনে সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়। তবে ট্রেনে গেলে নামতে হবে ফেনী রেল জংশনে। ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, মহাখালী থেকে বাস ছেড়ে যায় সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে। যানবাহনভেদে ভাড়া। তবে চারশ থেকে হাজার টাকার মধ্যেই যাওয়া যাবে। সীতাকুণ্ড পৌঁছে অটো কিংবা সিএনজিযোগে সীতাকুণ্ডর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যেতে পারবেন।


কোথায় থাকবেন


সীতাকুণ্ডে থাকার মতো তেমন বড় মানের হোটেল না থাকলেও মাঝারি মানের বেশ কিছু হোটেল আছে। হোটেলে রাত কাটাতে পারবেন। ভাড়াও বেশি নয়।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com