
লিবিয়ার জেলে পানি চাইলে দেয়া হতো লবণের পানি। চার দেয়ালের ভেতর মাসের পর মাস বন্দি রাখাসহ জেলের ভেতরে হেনস্তার অভিযোগ করেছে লিবিয়া ফেরত লিবিয়াফেরত বাংলাদেশি যুবক মফিজুল।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল সোয়া ৬টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ১৭৫ বাংলাদেশি। লিবিয়ার বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে দেশে ফিরেছেন।
তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লিবিয়াফেরত ব্যক্তিদের কিছু আনুষ্ঠানিকতা চলে। সব কার্যক্রম শেষ করে তারা বের হচ্ছে। তাদের মধ্যে আছেন সাতক্ষীরার মফিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা জেলে থাকা অবস্থায় ঠিকমতো খাওয়ার পানিটুকু দেওয়া হতো না। পানি চাইলে তারা লবণ পানি সরবরাহ করতো। এ পানি খেয়ে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তাম। আর মাসের ভেতর একবারও আমাদের রুম থেকে বের করা হতো না। চার দেয়ালের ভেতর বন্দি করে রাখা হয়। পুলিশ জেলের ভেতরে হেনস্তা করতো।
মফিজুর ইসলাম বলেন, যারা এখনো লিবিয়ার জেলা আটকে আছেন, তারা খুবই অমানবিক অবস্থায় আছেন। বিশেষ করে বাঙালিদের জন্য সেখানে কোনো আইন নেই। ওই জায়গায় আরও প্রায় দেড়শ জনের মতো বাঙালি আছে। যারা বিভিন্নভাবে লিবিয়া গেছেন।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, লিবিয়ার জেলে যেসব দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের লোকজন মাসে একবার হলেও গিয়ে দেখে আসেন। কিন্তু আমাদের দেশের কোনো কর্মকর্তা সেখানে যাননি। শুধু ফ্লাইটের আগের দিন তারা গিয়ে দেখা করে আসছেন। এর আগে তারা টেলিফোনে আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি, সান্ত্বনাও দেয়নি। অথচ দেশ এবং পরিবারের জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে লিবিয়ার গিয়েছিলাম।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]