
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল), যাতে অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ শিক্ষার্থী।
এবারের এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে। বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। পরীক্ষা চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে।
দাখিল পরীক্ষা শুরু হবে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা দিয়ে। ১৩ মে পর্যন্ত দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে। আর ১৪ থেকে ১৮ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
বৃহস্পতিবার এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের শিক্ষার্থীরা দেবেন বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা। ১৩ মে ইংরেজি-২ পরীক্ষা দিয়ে তাদের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে।
১৩ থেকে ২২ মে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ২৩ মে থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত বাস্তব প্রশিক্ষণ চলবে।
নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে এসব পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছে শিক্ষা প্রশাসন।
• নয়টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী।
• মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন পরীক্ষা দেবেন।
• কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় বসছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করলে এবং প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বা গুজব ছড়ানোতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো মোর্চ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০’, ‘তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬’ এবং ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিটি।
আর ‘সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে’ পরীক্ষা আয়োজনে সব নাগরিকের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্র এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী। ১৮০৮৪টি স্কুলের এসব পরীক্ষার্থী ২ হাজার ২৯১ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দেবেন।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় বসবেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন ছাত্র এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। ৯ হাজার ৬৩টি মাদ্রাসার এসব পরীক্ষার্থী ৭২৫টি কেন্দ্রে তারা পরীক্ষা দেবেন।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় বসছেন ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার চলার তিন ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রের আশপাশে ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নন এমন কোন ব্যক্তি চলাচল করতে পারবেন না।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময় ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ৩৪ দিন সব ধরণে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান বলেন, “এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এসময় পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যকেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না।
“পরীক্ষা চলকালে ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ৩৪ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোনো ধরনের কোচিং সেন্টারই খোলা রাখা যাবে না। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করবে। এসব নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।”
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “সাধারণত কেন্দ্রের আশাপাশে ২০০ গজের মধ্যে শুধু মাত্র পরীক্ষার তিন ঘণ্টা ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তবে কেন্দ্রভেদে এ দূরত্ব কম-বেশি হতে পারে।
“কেন্দ্রের আশপাশে কতটুকু জায়গা ১৪৪ ধারার অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা লালপতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। পরীক্ষা চলার সময়ে সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্য কেউ ওই লালপতাকা অতিক্রম করে কেন্দ্রের কাছে যেতে পারবেন না।”
‘সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত’ পরিবেশে আয়োজনে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে তা সব বিভাগীয় কমিশনার, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো হয়েছে।
• পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে।
• কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটের আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও দেরি হওয়ার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
• দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে জানাবেন।
• পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর কোন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া বা পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
• কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।
• কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
• এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা ‘প্রোগ্রামেবল’ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ‘নন প্রোগ্রামেবল’ সায়েন্টিফেক ক্যাকুলেটর ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটরগুলোতে গণিতের বিভিন্ন সূত্র চলে আসে। তাই প্রতিবছরের মত এবারের পরীক্ষাতেও প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। তবে নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা।”
ট্রেজারি-থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক এবং কর্মচারী ফোন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি, থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব বা তার মনোনীত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরার কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তারা (ট্যাগ অফিসার) উপস্থিত না থাকলে প্রশ্নপত্র ট্রেজারি, থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে বের করা বা বহন করা যাবে না।
মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনী প্রশ্নসহ রচনামূলক ও সৃজনশীলের সব সেট প্রশ্নই কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্নের সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা নিতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্র সচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে নির্ধারিত সেট কোড নিশ্চিত হয়ে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।
পরীক্ষা চলাকালে এবং পরীক্ষা আগে ও পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যদের প্রবেশ ‘সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ’ থাকবে।
এ সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষা দেরিতে শুরু করতে হলে ‘যত মিনিট পরে’ পরীক্ষা শুরু হবে পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব বা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারি করবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে সকল ফটোকপি মেশিন পরীক্ষার সময় বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে।
২০২৫ সালের এসএসসির কোন পরীক্ষা কোনো দিন—
১০ এপ্রিল: বাংলা প্রথম পত্র/সহজ বাংলা প্রথম পত্র
১৫ এপ্রিল: ইংরেজি প্রথম পত্র
১৭ এপ্রিল: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
২১ এপ্রিল: গণিত
২২ এপ্রিল: ধর্ম (ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা)
২৩ এপ্রিল: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি
২৪ এপ্রিল: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান/ কৃষিশিক্ষা/ সংগীত/ আরবি/ সংস্কৃত/ পালি/ শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া/ চারু ও কারুকলা
২৭ এপ্রিল: পদার্থবিজ্ঞান/ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা/ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
২৯ এপ্রিল: রসায়ন (তত্ত্বীয়)/পৌরনীতি ও নাগরিকতা/ ব্যবসায় উদ্যোগ
৩০ এপ্রিল: ভূগোল ও পরিবেশ
৪ মে: বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়)
৬ মে: জীববিজ্ঞান/অর্থনীতি
৭ মে: হিসাববিজ্ঞান
৮ মে: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
১৩ মে: বাংলা প্রথম ২য় পত্র/ সহজ বাংলা–২য় পত্র
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে;
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে;
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে;
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে;
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;
৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না;
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে;
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]