
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে চারপাশ। তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজীবন। এতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও হতদরিদ্র মানুষ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জেলায় রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনীত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেক পরিবারই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে এক কম্বল/লেপের নিচে গাদাগাদি করে রাত কাটাচ্ছে। শীতের কারণে কৃষিকাজেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা।
চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজার এলাকার মহসিন আলী বলেন, শীত ও ঠান্ডা পড়েছে বেশ। চিন্তা করছি কাজে যাবো কি না, কাজ না করলে তো আবার খাওয়া জোটে না।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আসা উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেটার কয়েক দিন থাকি জ্বর, ওষুধ খাওয়াইছি ভালো হয় না; তাই হাসপাতালে এসেছি।
পাঁচগাছি ইউনিয়নের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষাথী আলামিন মিয়া বলেন, সকালে স্কুলে যেতে হয়। যে শীত ও ঠান্ডা লাগে, অনেক কষ্টে স্কুল যেতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মুর্শেদ জানান, হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে শিশু ও বয়স্করা বেশি আসছেন। ঠান্ডা তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]