‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৬
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাসিমুল গণি রচিত ‘রিজিওনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সিএইচটি পিস অ্যাকর্ড ১৯৯৭: এন আনফিনিশড পিস বিল্ডিং মডেল অব বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।


অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়া এবং সাময়িকী ডিপ্লোমেটস ওয়ার্ল্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার যে কাজটি আমাদের ছিল, তা আমাদের শুরু করতে হবে। আমাদের এ নিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে শান্তি ফিরে আসে। কিছু উপাদান (ফ্যাক্টর) রয়েছে, এখানকার অশান্তি থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করবে। আপনাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।


তৌহিদ হোসেন বলেন, যখন মানুষ বুঝতে পারবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা লাভবান হচ্ছে, তখন শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এখানে প্রশ্ন আসে, শান্তি প্রতিষ্ঠা কি সবার জন্য লাভজনক। প্রতিটি সমাজে একটি শ্রেণি থাকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, অশান্তি ও সংঘাত থেকে তারা লাভবান হয়।


শান্তি প্রতিষ্ঠার সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অভাবগ্রস্ত মানুষেরা সুযোগের সন্ধানে সেখানে যায়। এ ছাড়া আরেক শ্রেণির মানুষ রয়েছে, যারা ভিন্ন সুযোগের সন্ধানে সেখানে যায়। সেখানকার জমি ব্যবহার করে কেউ সৎ বা কেউ অসৎ উপায়ে ধনী হয়।


প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, বইটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন অন্তর্বর্তী সরকার তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত লোকজনের মধ্যে নিরাপত্তা, ধর্মীয় ও সামাজিক সংহতি রক্ষায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলো। চার মাস আগে আমরা সেখানে উত্তেজনা, বিক্ষোভ ও অশান্ত পরিস্থিতি দেখেছি। মব জাস্টিসের কারণে সেখানে তিন-চার দিনের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্তত পাঁচ থেকে ছয়জন উপদেষ্টা সেখানে গেছেন।


তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি সইয়ের ২৭ বছর পরও শান্তি থেকে গেছে অধরা। কারণ বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এলেও চুক্তির বেশিরভাগ শর্তই পূরণ করেনি। প্রতি মাসে খুনোখুনিসহ হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জড়াতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com