'প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান'
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪, ০০:৪৬
'প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নানা সীমাবদ্ধতার পরেও বাংলাদেশ গত সাত বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান।


জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর অনুষ্ঠিত একটি সংলাপে এ কথা বলেন জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক।


কক্সবাজার সীমান্তে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। ঢাকার পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।


বাংলাদেশ জানিয়েছে, মিয়ানমারের যেকোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তা যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।


জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের জন্য তাদের জীবিকার ব্যবস্থা উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান সঞ্চিতা হক।


সংলাপের শুরুতে কাউন্সিলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ ও রাখাইনে ঘৃণ্য যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।


স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি রাখাইনের বুথিডং-এ রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের সাম্প্রতিক খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের যেকোনও সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।


তিনি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার আহ্বান জানান। এছাড়া মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে ন্যায়বিচার অর্জন এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ করেন।


উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশন ১৮ জুন জেনেভায় শুরু হয়েছে। চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com