
শুল্ক কমায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির নতুন দাম নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ফলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন দামে তেল-চিনি বিক্রি শুরু হবে।
৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে মালামাল ট্রানজিটে আছে সেগুলো দ্রুত খালাস করে বাজারজাত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে শুল্ক সুবিধা সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে যায়।’
তেল-চিনির মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তেল এবং চিনির মূল্য আমাদের ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমদানিকারক এবং উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে যৌক্তিক পর্যায়ে নতুন শুল্কের প্রভাব অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করবো। রমজান উপলক্ষ্যে সেই দামে বিক্রি হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, ‘আমরা এনবিআরের সঙ্গে কথা বলবো। উৎপাদক যারা আছেন তারা কবে মাল আনছেন সে হিসাব করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে বসে নতুন শুল্কের যে হিসাব সে অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করে দেবো।’
এর আগে বৃহস্পতিবার পবিত্র রমজান মাসে বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালে আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর মধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ ও চিনিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।
রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমানো হয়েছে। এর মধ্যে চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে এনবিআর। এতে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে শুল্ক দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।
অপর দিকে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ রমজান মাসের আরেক পণ্য খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]