বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৩
বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল : প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপিই ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। জিয়া-এরশাদের শাসনামলকে এজন্য হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে ভোট চুরির দরকার পড়ে না বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভোট চুরি করতে পারবে না বলে নির্বাচনে আসেনি।


১ জানুয়ারি, সোমবার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।


শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব, এই স্লোগান আমাদের।


শেখ হাসিনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদেরই দাবি ছিল, নির্বাচনের যে সংস্কার সে সংস্কারগুলো তারা কিছু করে। পরবর্তীতে আমরা এসে আইন করি। নির্বাচন কমিশন এখন আইনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আর্থিকভাবে প্রাইম মিনিস্টার অফিসের ওপর ন্যস্ত ছিল। আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন যেন স্বাধীনভাবে করতে পারে আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম ও আছি। যেহেতু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে, এ সময় মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছি। মানুষের হৃদয় জয় করে মানুষের ভোট পাই। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, আমার কথা না হাইকোর্টের রায় আছে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীর পিতার বঙ্গবন্ধুর আমলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ ছিল। ৯ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি, আমরাও পারিনি। আমরা ৮ পর্যন্ত তুলেছিলাম। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, জাতির পিতার ছবি নিষিদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা বলতে ভয় পেতো।


তিনি বলেন, জাতির পিতার রেখে যাওয়া ২৭৭ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় জিয়া-এরশাদের আমলে বৃদ্ধি পায়নি। বরং জিয়ার আমলে প্রতি বছর এটা মাইনাস হতে থাকে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য না গড়লেও ক্ষমতাসীনদের ভাগ্য গড়ে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ওই মিলিটারি ডিক্টেটর পকেট থেকে যে দলটি বের হয় সে দলই হচ্ছে বিএনপি। স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, মা-বোনকে লাঞ্ছিত করেছে তারাই জামায়াত।


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, শুনেছি, সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা কামাই করে৷ জুয়া খেলে টাকা কামাই করে সে টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।


২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে এলেও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলটিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি তার।


শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করতে আমি প্রস্তুত। বোমা-গ্রেনেড কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।


আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন। এসব উন্নয়নের কারণে ঢাকাবাসী আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী।


জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com