সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫১
সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৪২ হাজারের ১৪৯টি ভোট কেন্দ্র। যার মধ্যে ১০ হাজার ৩০০টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (অতি গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


২৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।


ইসি সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের এই তালিকা তৈরি করা হয়। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে কমিশন।


এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ৬ লাখ ৮৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে থাকবে ২ লাখ ১৫ হাজার সদস্য। আর ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার।


এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮০০ এর বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনি প্রচারে সহিংসতার ঘটনায় এরই মধ্যে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে।


৩০০টি নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে।


সূত্রটি জানিয়েছে, সবগুলো আসনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুইজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সাধারণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে। তবে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি দল থাকবে।


মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। যার মধ্যে অস্ত্রধারী তিনজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেকজন আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্যের দল প্রতি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হলে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে এবং অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা তিনজনের পরিবর্তে চারজন হবে।


তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। এদিন থেকেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলছে। যা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। আর আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com