চীনের গ্যাঙসু প্রদেশে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার রাতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এছাড়া ভূমিকম্পে আরও ৯৬ জন আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি এতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে, চীনের গ্যানসু অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
সোমবার রাতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটি ৬.১ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)।
এটির উৎপত্তিস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝোর ১০২ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ধসে পড়া ভবনগুলোর ছাদ ও ধ্বংসাবশেষ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জরুরি উদ্ধারকাজ। তবে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ভূমিকম্পটির মাত্রা বেশি ছিল। গভীরতা ছিল কম। এ কারণে হতাহতসহ ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
গানসু ব্লু স্কাই রেসকিউ টিমের এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির একটি কারণ হলো, এলাকাটির অনেক বাড়ি মাটি দিয়ে তৈরি, তা ছাড়া এলাকাটির বাড়িঘরও অনেক পুরোনো।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি বসবাসের অযোগ্য হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
চীনে এ ধরনের ভূমিকম্প স্বাভাবিক ঘটনা। চলতি বছরের আগস্টে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কেউ নিহত না হলেও ২৩ জন আহত হন। সে সময়ও ধসে পড়ে বেশ কিছু ভবন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভূমিকম্পের পর হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]