‌‘জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে তদারকি করা হচ্ছে’
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫৪
‌‘জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে তদারকি করা হচ্ছে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে তদারকি করা হচ্ছে। নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী শান্তি-শৃঙ্খলা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, কোন পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।


৩০ অক্টোবর, সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আসন্ন ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু করার পরিকল্পনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।


ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী শান্তি-শৃঙ্খলা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, কোন পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।


গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ তাদের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের সক্ষমতা তুলে ধরেছেন। দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব দিলে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, এই বিষয়টি তারা সভায় উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাদের বক্তব্য শুনেছে, কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। নির্বাচনে বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব সম্পর্কে পরবর্তীতে যতগুলো পরিপত্র জারি করা হবে, সেগুলোর নির্দেশনার আলোকে বাহিনীগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে তারা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা নির্বাচন কমিশনকে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সে অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে গতকালের হরতালের পর বিএনপি আবার তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতা অবলম্বন করছে। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী ধাপসমূহে কোনো ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে কমিশনকে অবহিত করবেন। তখন নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করবে।


ভোটের আগের দিন রাতে কিংবা ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠানো হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। এখনও অনেক সময় আছে। এ নিয়ে সামনে আরো সভা হবে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


নভেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো সময় তফসিল হবে বলে জানান তিনি।


প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‍্যাপিড অ্যাকশন র‍্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট, গার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআই’র মহাপরিচালক, এসবি’র অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় ও ভোটকেন্দ্র বেশি হওয়ায় এবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশি মোতায়েন হতে পারে। এছাড়া নিরাপত্তা পরিকল্পনাও নিতে হবে এখনই। এ বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


এদিকে ইসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়ে সকল কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে ভোটগ্রহণ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা রয়েছে।


বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com