বাজারে চালের দরের নিম্নমুখী ট্রেন্ড রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪৩
বাজারে চালের দরের নিম্নমুখী ট্রেন্ড রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

এই মুহূর্তে বাজারে চালের দরের নিম্নমুখী ট্রেন্ড রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এটা সম্ভব হয়েছে বাজারে চালের দাম কম এবং সরকারের কাছে চালের দাম বেশি পায়। এ কারণে মিল মালিকরা আমাদের কাছে চাল বিক্রি করতে অধীর আগ্রহে আছে। তারা আমাদের চাল দিলে ভালো দাম পায়। লাভও বেশি করতে পারে।


৮ অক্টোবর, রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।


মন্ত্রী বলেন, আমাদের দুটি কারণে চাল সংগ্রহ করা হয়। একটি হচ্ছে দুর্যোগকালীন যাতে সংকট না হয় সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া। আরেকটি হচ্ছে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় তাদের মধ্যে বিতরণ করা। এটা বিরাট একটা কর্মসূচি। এখানে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ও সম্পৃক্ত রয়েছে।


আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বছর আমাদের জন্য সুখবর যে জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত এবছরের মরা কার্তিকেও আমাদের দেশে চাল আমদানি করতে হয়নি। আরেকটি সুখবর হচ্ছে গত বোরো মৌসুমে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম সেটা পূরণ করেও অতিরিক্ত ২ লাখ টন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছি।


তিনি বলেন, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি। এই কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের অনেক সিনিয়র সচিবরা রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট অনেক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার দায়িত্ব এই কমিটির ওপরই।


অনেক কৃষিপণ্যের দাম অনেক বেশি বলে একটি আলোচনা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাজারে পিঁয়াজ এবং আলুর দাম বেশি। একইসঙ্গে ডাল, তেলসহ আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বেশি তো রয়েছেই। আমদানি নির্ভর যে পণ্যে রয়েছে সেখানে আমরা খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারি না। মানুষ তার খাদ্যের ৭০ শতাংশই খরচ করে চাল কিনে। চাল হচ্ছে খাদ্যের প্রথম ও প্রধান উপাদান। পিঁয়াজের দাম বা আলুর দাম কতটুকু সেটা আমি বলতে চাই না। কিন্তু চাল নিয়ে মানুষের কোনো সমস্যা নেই।


মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ন্যূনতম যে খাবারটা প্রয়োজন সেটা কিন্তু মানুষ কিনতে পারছে। দেশে এখন ১৫ টাকা কেজি দরে ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। চালের দাম নিম্নমুখী থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। কাবিখা ও টিআর এর আওতায় খোলা বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষ পর্যাপ্ত চাল পাচ্ছে। এটা জেলা পর্যায়েও দেওয়া হচ্ছে। টিসিবি কার্ড করেও এক কোটি পরিবারকে চাল দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি মানুষ মূল খাদ্য চালের বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট যোগ্যতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সব বিবেচনায় চাল উৎপাদন, বিতরণ এবং সংরক্ষণে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি।


বিবার্তা/রিয়াদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com