ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ১২ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২২
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ১২ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


র‌্যাম্পসহ এই পথের মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে ২২ কিলোমিটার। তবে যানবাহন চলাচল করবে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে। মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার ব্যতীত অন্য যানবাহন চলাচল করবে। উড়াল সড়কে যানবাহনের গতি থাকবে ৮০ কিলোমিটার, ফলে মাত্র ১২ মিনিটেই দুর্ভোগের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।


নগরীর যানজট নিরসনে জাদুর কাঠি হিসেবে কাজ করবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) প্রকল্প। চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল লেনের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি ছুটবে নগরবাসীর স্বপ্নের এ প্রকল্পে। তবে বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে যাত্রাবাড়ী।


বনানী ও মহাখালী র‌্যাম্প ব্যতীত বিমানবন্দর সড়ক থেকে তেজগাঁও-ফার্মগেট অংশের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্প শুরুর প্রথম সাত বছরে কাজের অগ্রগতি ১০ শতাংশও ছিল না। তবে নতুন করে প্রকল্পের গতি বৃদ্ধি পায় মূলত থাইল্যান্ডভিত্তিক ইটাল-থাই ও চীনের সিনোহাইড্রো ও সিএসআই শেয়ার ভাগাভাগি করে এটি বাস্তবায়ন করায়।


প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন ঢাকার এক লাখ যানবাহন এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। রাজধানীর ভেতরে ৩১টি স্থান থেকে উড়ালপথে ওঠানামা করবে গাড়ি। পাঁচ থেকে ছয়তলা ভবনের সমান উঁচু হচ্ছে এ উড়াল সড়কপথ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে শুরু হয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে যাচ্ছে এ সড়ক।


বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা ছিল। মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল তিন হাজার ২১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় অপরিবর্তিত রেখে মেয়াদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রকল্পটির বিদ্যমান অঙ্গসমূহের পরিমাণ ও ব্যয় বাড়ার কারণে প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সময় বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয়বারের মতো প্রকল্পে সংশোধনী এনে সময় আরও বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শতভাগ সম্পন্ন করার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত উড়াল সড়কে নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।


নির্মাণ সুবিধার্থে প্রকল্পটি তিনটি ট্রাঞ্চে ভাগ করা হয়েছে। ট্রাঞ্চ-১. বিমানবন্দর-বনানী-রেলস্টেশন পর্যন্ত, এর মোট দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। ট্রাঞ্চ-২ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। ট্রাঞ্চ-৩. মোট দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com