সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ২৩:১৩
সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়পোযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সবার সহযোগিতায় মাত্র সাতদিনের মাথায় বিদ্যুৎকে মোটামুটি একটি নিরবচ্ছিন্ন জায়গায় নিতে পেরেছি।’


উৎপাদনে আকস্মিক সংকট এনেছিল বিদ্যুতের লোড শেডিং, সেই সমস্যা সমাধানে ১৫-১৬ দিন সময় চেয়েছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার স্বস্তি প্রকাশ করলেন তিনি।


মঙ্গলবার ( ১৩ জুন) সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন ‘মোটামুটি’ নিরবচ্ছিন্ন।


কয়লার অভাবে দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল হয়ে পড়লে দুই সপ্তাহ আগে লোড শেডিং ব্যাপক বেড়েছিল। তাতে গরমের মধ্যে মানুষের ভোগান্তি উঠেছিল চরমে।


সেই অবস্থায় গত ৬ জুন দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল সংসদে বলেছিলেন, ‘আমরা মনে করি, ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আপনারা সকলেই একটু ধৈর্য ধরেন।’


কয়লা আমদানি করে পায়রা এ মাসেই সচল করার পাশাপাশি দেশে আরও বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু এবং ভারত থেকে আমদানি বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন তিনি।


তার সাত দিন পর মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘সপ্তাহ খানেক দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা ধারণা করেছি, ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সমাধানের দিকে নিয়ে যাব।


‘কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়পোযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সবার সহযোগিতায় মাত্র সাতদিনের মাথায় বিদ্যুৎকে মোটামুটি একটি নিরবচ্ছিন্ন জায়গায় নিতে পেরেছি।’


সংকটের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড ও ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশই জ্বালানি ক্ষেত্র ব্যাপক বাধার মুখে পড়েছে। নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী জ্বালানি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে। জিনিসের দাম বেড়েছে, জ্বালানির দামও বেড়েছে।


তারমধ্যেই বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে ব্যবস্থা নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান নসরুল।


চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানসম্মত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, এটাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


‘চ্যালেঞ্জগুলো হলো- রিল্যাইবেলিটি, এফোর্ডেবিলিটি এবং বড় বিষয় আরেকটি নিরবিচ্ছিন্ন ‘পাওয়ার এনার্জি’ পাওয়া। এজন্য কেবল অর্থ সংস্থান হলে হবে না। টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বে প্রত্যেক দেশ জ্বালানি ব্যবস্থা কেমন হবে, তা নতুন ভাবে চিন্তা করছে।’


তিনি জানান, সরকার চেষ্টা করছে অন্তত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ শতাংশ যেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে করা যায়। সেটা মাথায় রেখে নেপাল থেকে ৭০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


‘চুক্তির জন্য সবকিছু তৈরি করা হয়েছে…ভূটান থেকেও বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা হচ্ছে।’


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com