বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সিফুড শো ১৯-২১ অক্টোবর
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ১৩:২৭
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সিফুড শো ১৯-২১ অক্টোবর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আগামী ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সিফুড শো ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে।


শনিবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইনসেপশন ওয়ার্কশপ ও প্রেস মিটে অংশ নিয়ে আয়োজকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজন করে মৎস্য অধিদফতরের ফিশারি বিভাগ, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ফ্রজেন ফুডস এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সলিডারিডেড।


জানা গেছে, সিফুড শো উপলক্ষে অ্যাকুয়াকালচার এবং সীফুড শিল্পের সাথে জড়িত দেশি-বিদেশী কোম্পানি, সীফুড প্রসেসর, রপ্তানিকারক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ, সরকারী সংস্থা এবং নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উৎপাদক, এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা একত্রিত হবেন। আশা করা হচ্ছে সকল অংশীদারদের অংশগ্রহণে এই শো বাংলাদেশের অ্যাকুয়াকালচার সিফুড শিল্পের বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।


মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অ্যাকুয়াকালচার সিফুড শিল্পের দ্রুত বিকাশ নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে এই শো আয়োজন করা হয়েছে। এই শো’র মাধ্যমে বাংলাদেশের অ্যাকুয়াকালচার সিফুড শিল্পের নানাবিধ উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য দেশী- বিদেশী ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপিত হবে যা এই শিল্পের দ্রুত ও টেকসই বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।


এই প্রদর্শনীতে অ্যাকুয়াকালচার প্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রসেসিং মেশিনারিজ, প্যাকেজিং এবং অন্যান্য সেবা ও বাণিজ্যিক পণ্যের সমাহার ঘটবে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন এই প্রদর্শনী থেকে ব্যবসায় এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন স্বপ্ন এবং উদ্যোগের জন্ম হবে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যান্টেজ মার্কেট রিসার্চ এর বরাত দিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান যে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে অ্যাকুয়াকালচার শিল্পের মার্কেট ছিল ২৮৯.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের। গবেষণায় বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে এই শিল্পের বিশ্ববাজার দাঁড়াবে ৪২১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।


গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টার বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মৎস্য ও সিফুড মার্কেটের মূল্য ছিল ১৭.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গবেষণায় প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২০২৩ মেয়াদে শিল্পের বাজার ৯.০৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধিলাভ করবে। বিশ্ববাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে চায়না (৮৮.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। মোট জনসংখ্যার হিসেবে ২০২৩ মাথা পিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ১০২ .৬০ মার্কিন ডলার। মৎস্য এবং সিফুড বাজারে মোট পণ্যের পরিমাণ ২০২৮ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১১৬৭.০০ মিলিয়ন কেজি। ২০২৪ সালে এই শিল্পের বাজারের প্রবৃদ্ধি ঘটবে ৬.৩ শতাংশ হারে। ২০২৩ সালে মৎস্য এবং সিফুড বাজারে গড়ে প্রতি জন ব্যক্তি ৫.৬৬ কেজি পণ্য গ্রহণ করবে বলে স্ট্যাটিস্টার
পরিসংখ্যানে বলা হয় বলে জানান মন্ত্রী।


সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বাংলাদেশের অন্যান্য মৎস্যসম্পদ রপ্তানির চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উত্তরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।


মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান যে চিংড়ি, ফিনফিস, শুটকি মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এই অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার রোগমুক্ত বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেওয়াসহ চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।


তিনি বলেন, সনাতনী পদ্ধতির চিংড়ি হ্যাচারিকে এসপিএফ হ্যাচারিতে রূপান্তর, ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ পদ্ধতি প্রচলন, চিংড়ি খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি, সাপ্লাই চেইনের মান উন্নয়ন, দেশব্যাপী বিদ্যমান চিংড়ি খামারের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি, সমন্বিত ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম প্রবর্তন, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২০ প্রণয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান বাস্তবায়ন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা, নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিং, আমদানিকারক দেশের মৎস্য পরিদর্শন এবং মান নিয়ন্ত্রণ বিধি ও চাহিদার সাথে গতি রেখে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।


মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অ্যাকুয়াকালচার সিফুড শো ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের পথে অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখবে।


অন্যান্যদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।


বিবার্তা/সোহেল/কেআর/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com