মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানকে (দাদা ভাই) তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে সমাহিত করা হবে।
সিরাজুল ইসলাম খানের ছোট ভাই ফেরদৌস আলম খান পিয়ারু জানান, তার বড় ভাইয়ের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল থেকে মোহাম্মদপুর মারকাজুলে নেওয়া হবে। সেখান থেকে শমরিতা হাসপাতালের মরচুয়ারীতে রাখা হবে। এরপর শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জানাযা হবে।
তিনি জানান, জীবনের অন্তিম পর্যায়ে এসেও তিনি কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মান চাননি। বড় ভাইয়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
দাদা ভাই বারবার বলতেন, তার মৃতদেহ যেন শহীদ মিনারসহ এমন কোন জায়গায় না নেওয়া হয়। দাফনের সময় মায়ের শাড়ি দিয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়। এবং আমিসহ প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার কবরে মাথার কাছে যেন লম্বা স্তম্ভ তৈরি করা হয়।
সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, সমস্ত স্মৃতি নিয়ে শ্রদ্ধা নিয়ে চলে গেলেন সিরাজুল ইসলাম খান দাদা ভাই। তিনি অত্যন্ত সাহসী, আত্মত্যাগী, কৌশলী, বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন। বাংলাদেশের আন্দোলনে মুজিবুর রহমানের পরে যদি কারো নাম নিতে হয়। তবে সিরাজুল ইসলামের নাম নিতে হবে। অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন দাদা ভাই।
জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডান হাত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম দাদা ভাই। বাংলাদেশের অনেক কিছুর কাণ্ডারী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার ভুমিকা ছিল অন্যতম। আরো উপস্থিত ছিলেন জোনায়েদ সাকি, নুরুল হক নুরসহ আরো অনেক নেতাকর্মী। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের অ্যাম্বুলেন্স যোগে মোহাম্মদপুর মারকাজুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]