আচরণবিধি ভঙ্গ করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা একটি চিঠি আজমত উল্লাহকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিকেল ৩ টায় উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আজমত উল্লাহ খানকে ডাকা হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লাহ খানকে মনোনয়পত্র দাখিলের সময় সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন করার ফলে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবেনা অথবা তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ৭ মে নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। শোডাউন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে।

উল্লিখিত কার্যক্রম সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ৭, ১১ ও ১৩-এর পরিপন্থি। বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের কারণে বিধি ৩১ অনুযায়ী দণ্ডারোপ বা বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।

সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহকে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

গত ২৭ এপ্রিল গাসিক নির্বাচনে নির্বাচনে লড়াই করতে ৩৮৪ জন মনেোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১২ প্রার্থী। অন্যদিকে সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য জমা দিয়েছেন ২৯০ প্রার্থী আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ৮২ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল হবে ২ মে থেকে ৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ৭ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ মে। আর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৯ মে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৭ এপ্রিল।

বিবার্তা/সানজিদা/জবা