সব দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে : নির্বাচন কমিশনার
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৬
সব দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে : নির্বাচন কমিশনার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশের সব দল নির্বাচনে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নেয়া উচিত। দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমান কমিশন যতগুলো নির্বাচন করেছে তাতে কেউ বলতে পারবে না পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে’।


১ মার্চ, বুধবার রাজধানীত আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন,' আমাদের পক্ষ থেকে যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা নেবো। পার্টিসিপেটরি নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।'


যারা নির্বাচনে আসছে না তাদেরকে নির্বাচনে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত আপনাদের কোনো ভূমিকা থাকবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকাটা কি। আমরা আশাও করি যে, সবদল নির্বাচনে আসবে। কারণ আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে।


তিনি আরো বলেন, ‘যারা আসছেন না তারা বলছেন যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা তারা মনে করেন না। কিন্তু এই মনে করার পিছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা সম্পূর্ণরুপে স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আমাদের যেসমস্ত সংবিধান এবং আইন দায়িত্ব দিয়েছে, ক্ষমতা দিয়েছে। আমরা তার পুরোটা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই’।


সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভোটে কম ভোট পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ইতিমধ্যে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোর নানান রকম পরিস্থিতি ছিলো। একটি বড় রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের যারা সাপোর্টার তারা তো ভোট দিতে আসেন না। এ জন্য ভোটের কাস্টিং কমে যাচ্ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনার মধ্যে আমাদের কিছু নির্বাচন করতে হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে তখন অনেকে ভয়ে ভোট দিতে আসেননি।


তিনি জানান ‘এছাড়া উপনির্বাচনগুলো যখন হয়, উপনির্বাচনের মেয়াদ থাকে অল্প্ এবং এতে সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই ভোটদানে আগ্রহ কম থাকে। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হতে পারে। সেই সুযোগ যেহেতু এখানে রয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। তো সেক্ষেত্রে ভোটার ভোটার উপস্থিতি বাড়বে’।


২ মার্চ ভোটার দিবসের বিষয়ে তিনি বলেন, ' সার্কভূক্ত দেশগুলোর একটা সংস্থা আছে। তারা একসময় দেখলেন যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভোটারদের যে অধিকার, দায়িত্বগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তারা সচেতন নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা চর্চার ক্ষেত্রে ভোট এবং ভোটারের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। ভোটাররা যদি ভোটার হওয়া এবং ভোটদানের ক্ষেত্রে নিস্ক্রিয় থাকে, তারা যদি আগ্রহ না দেখায়।


তাহলে তো গণতন্ত্রের যে সুষ্ঠু চর্চা, সেটা কিন্তু অনেকটা নিখুঁত হয় না। এজন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলো তাদের বিধানমত বছরে একটি দিন ভোটার দিবস হিসেবে পালন করবেন। যাতে দেশের সব মানুষ জানতে পারেন যে, এইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোটারদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে, ভোটদানে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই জিনিসটা একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানানো। সে অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে আমরা এটি করে আসছি। আগে ১ মার্চ এই দিবসটি পালন করা হতো। এখন ২ মার্চ পালন করা হয়।


বিবার্তা/সানজিদা/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com