জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সৃজনশীল সাহিত্যের আবেদন সর্বকালীন। বাংলাদেশে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির শক্তিমত্তার যে বীজ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্তের ধারাবাহিকতায় বিশিষ্টজনেরা গেঁথে গেছেন তা চিরঅটুট থাকুক। এ বাংলা সংস্কৃতি ও মানবিকতায় সব সময় অপূর্বই থাকবে। বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্যের জয় হোক।’

১০ মার্চ শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন-২০২৩ এ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকরা এসেছেন। তাদের সবাইকে এই সম্মেলনে স্বাগত জানাই। বুদ্ধিদীপ্ত এই সম্মেলনে সাহিত্যের নতুন নতুন আঙ্গিক বের হয়ে আসুক। সৃষ্টি হোক সাহিত্য-সংস্কৃতির নতুন দিগন্ত।’

‘অধুনাবাদের আলোয় এসো শেকড় খুঁজি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দুই দিনব্যাপী শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন-২০২৩ শুরু হয়েছে ১০ মার্চ শুক্রবার। এটি শেষ হবে ১১ মার্চ শনিবার। বাংলাদশ, ভারত, নেপাল থেকে পাঁচ শতাধিক কবি-লেখক-অনুবাদক-শিল্পী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভারতের কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার, প্রফেসর আনোয়ারা সৈয়দ হক, প্রফেসর আকরাম হোসেন, নেপালের বিশিষ্ট কবি সুমন পোখরেল প্রমুখ। শালুক প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে চারজন কবি ও কথাসাহিত্যিককে শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে।

সকাল ১০টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়। এদিন একাধিক কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কর্ম অধিবেশনগুলোতে দেশি বিদেশি শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা, কবিতাপাঠ ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মকা- অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় দিন ১১ মার্চ দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশন থাকবে ঢাকার কাঁটাবনস্থ পাঠক সমাবেশে। এ দিনও একাধিক কর্ম অধিবেশন শেষে সম্মিলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। শালুক সম্পাদক ও সাংবাদিক ওবায়েদ আকাশ ও শালুকের সহযোগী সম্পাদক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন সম্মিলনে উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/রাসেল/জবা