ইফতারে খেজুর খাবেন কেন?
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৪
ইফতারে খেজুর খাবেন কেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রোজার সময় ইফতারিতে খেজুর রাখা ভালো। রমজান মাসে ইফতারিতে খেজুর না থাকলে যেন টেবিলে পরিপূর্ণতা আসে না। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর খাবার। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। রোজা ছাড়াও বছরজুড়েই অনেকে খেজুর খেয়ে থাকেন। সুস্বাদু এ ফলের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। এ ছাড়া অন্য সময়ে প্রতিদিন সকালে তিন-চারটি খেজুর খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত যারা কোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য ফলটি মহৌষধ।


খেজুরের পুষ্টিগুণ


খেজুর সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক–সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, প্রতি ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।


এ ছাড়া খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।


খেজুর শরীরে শক্তি জোগায় শুকনা খেজুর ওজনের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি এবং সে কারণেই সরাসরি রক্তে চলে যায়। শুকনা খেজুরকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে।


ব্লাড প্রেশারে বিশেষজ্ঞের মতে, খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। তাই যাদের ব্লাড প্রেসার আছে তারা খেজুর খেতে পারেন।


খেজুর মনকে উৎফুল্ল করে খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যা সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই মিষ্টি ফল মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়, খুশি রাখে।


স্ট্রেস কমায় স্ট্রেস ও নার্ভাসনেসের কারণে মাথাব্যথা হলে তা সহজেই দূর করতে পারে খেজুর। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্ট্রেস দূর করতে সহায়ক।


হাড় শক্ত করতে ভিটামিন কে-তে ভরপুর খেজুর। হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ভিটামিন কে।


ইফতারে যারা শরবত খান না, তারা কয়েকটি খেজুর খেয়ে এর চেয়েও বেশি শক্তি গ্রহণ করতে পারেন। অল্প কয়েকটা খেজুর খেলে ক্ষুধার তীব্রতা কমে যায়। পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। ফলে মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।


তবে যাদের ডায়াবেটিস এবং শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি রয়েছে, তাদের বেলায় পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাওয়া উচিত।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com