
রেমিট্যান্সের তিন কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় উত্তরা ব্যাংক লি. নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) রোকনুজ্জামান ও সেকেন্ড অফিসার মুক্তার হোসেনের ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দেড় কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে, যা তাদের ব্যক্তিগত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য।
২ জুন, রবিবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ এস.এম. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই শাখার সাবেক হেড ক্যাশিয়ার নিজাম উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডিত রোকনুজ্জামান মাদারীপুরের আউলিয়াপুরের ও মুক্তার হোসেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার বাসিন্দা। তারা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। খালাস পাওয়া নিজাম উদ্দিন আজ আদালতে হাজির ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৬ মে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন ওই শাখার মহাব্যবস্থাপক আঞ্চলিক প্রধান খায়রুল আলম।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরা ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী উত্তরা ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার সীমাতিরিক্ত টাকা নারায়ণগঞ্জ (প্রবাদ) শাখায় স্থানান্তরিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নিতাইগঞ্জ শাখা থেকে ২০১৩ সালের ২৭ মে থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পাঠানো নগদ রেমিট্যান্সের দেড় কোটি ও ৪০ লাখ এবং মুন্সিগঞ্জের রেকাবীবাজার শাখা থেকে ওই বছরের ২২ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পাঠানো রেমিট্যান্সের এক কোটি ১০ লাখ টাকা; মোট তিন কোটি টাকা স্থানান্তরিত হলে আসামিরা ওই টাকা সংশ্লিষ্ট শাখার অফিসারের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]