
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ চারজন বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আবেদনে শুনানির পর ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া দণ্ড স্থগিত করে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
খুরশীদ আলম খান জানান, এ চারজন বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে যেতে হবে। এছাড়া রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ জানুয়ারি তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া পুরো রায়টি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন। এই পুরো স্থগিতাদেশের মধ্যে আমরা কেবল দণ্ড স্থগিত করাটা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। হাইকোর্ট দণ্ড স্থগিত অংশের আদেশ স্থগিত করেছেন। ফলে ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় এখন দণ্ডিত। হাইকোর্ট আপিলটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬(১) অনুসারে ফৌজদারি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত থাকে। হাইকোর্ট বলেছেন এর জন্য আলাদা আদেশের প্রয়োজন নেই। এটি স্থগিতই থাকবে।’
ড. ইউনূসের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে এ আইনজীবী বলেন, ‘এখন থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আপিলকারীকে বিদেশে যেতে হলে আইনজীবীর মাধ্যমে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে।’
গত বছরের ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]