শিরোনাম
বিবার্তার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান
‌‘শিক্ষার্থীদের কোভিড ক্ষতি পুষিয়ে দেয়াই প্রধান লক্ষ্য’ (পর্ব-১)
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২৮
‌‘শিক্ষার্থীদের কোভিড ক্ষতি পুষিয়ে দেয়াই প্রধান লক্ষ্য’ (পর্ব-১)
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কট ও তার পরিকল্পনা নিয়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ ডটনেটের সাথে ‍তিনি কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবার্তা প্রতিবেদক মহিউদ্দিন রাসেল।


শুরুতে বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক। অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান দেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক এর আগে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য হিসেবে।


বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। পরে উপাচার্যের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পান। চলতি বছরের ৩০ মে পরবর্তী চার বছরের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৩১ মে গাজীপুর মূল ক্যাম্পাসে যোগদানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ড. মশিউর।


বরেণ্য এ অধ্যাপক ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। ২০০০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৩ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।


কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা এই শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য।


বিবার্তাকে দেয়া সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


বিবার্তা : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব পেয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন?


অধ্যাপক ড. মশিউর : একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ বিশেষ কোন অনুভূতি হওয়ার কথা নয়, আলাদা করে ভাববার কথা নয়। শুধু এটা একটা মাত্র বিষয়, আর তা হলো বড় দায়িত্বের বিষয়। অর্থাৎ আমি যদি বলি আমার অনুভূতি কি তাহলে আমি বলবো, এখানে অনেক কাজ সম্পাদন করতে হবে। এ দায়িত্ব দ্বারা নিজের কাছে নিজের প্রতিশ্রুতি তৈরি হয়। সরকার যেহেতু একটা লক্ষ্য নিয়ে আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে সেটা আমার কাছে অনেক বড় দায়িত্ব।


আমার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকে মনে হয়েছে যে, এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্র এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে আমি থাকবো। এ মেয়াদের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান যাতে কিছুটা হলেও আমার দ্বারা উপকৃত হয় সেজন্য কাজ করে যাবো । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে সেবা করার বড় একটা সুযোগ থাকে। যদিও এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবুও এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমি এগিয়ে যেতে চাই, প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে চাই।


বিবার্তা: নতুন দায়িত্ব পেয়ে অনেকে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চায়। এ বিষয়ে আপনি কীভাবছেন?


অধ্যাপক ড. মশিউর: আমি অনেক রকমের স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা বলবো না বরং আমি বলবো কিছুটা পরিবর্তনের যে আবশ্যকতা তা করা হবে। পূর্বেকার গৃহিত ইতিবাচক কাজগুলো অব্যাহত রাখা হবে। যেটি অনেক সময় হয় যে, নতুন প্রশাসন এসে সবকিছু নতুন করে ভাবে। পুরাতনদের ভালো কাজকেও তারা মূল্যায়ন করে না। আমি এর ব্যতিক্রম হতে চাই। আমি মনে করি , পূর্বের কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ তৈরি না হওয়াটা অবিবেচনাপ্রসূত।


কারণ আগে যারা কাজ করেছে নিশ্চয় তারা বাস্তবতার নিরিখে সবকিছু বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেগুলোকে হঠাৎ করে আমি দায়িত্ব পেয়ে বাতিল করে দিলাম, তা হয় না। আমি এ বিষয়টাকে এভাবে চিন্তা করি না।



আমি মনে করি , পূর্বে গৃহিত কর্মসূচির মধ্যে যেগুলোর মধ্যে সৃজনশীলতা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে এবং সার্ভ করার মতো ইচ্ছা আছে সেগুলোকে সুন্দর ভাবে অব্যাহত রাখা ,কনট্রিবিউশন থাকাটা প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরী। আমি আসলে বিষয়টাকে এভাবে দেখি।


বিবার্তা: দায়িত্ব গ্রহণের পর এখানে এসে কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন?


অধ্যাপক ড. মশিউর : আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদ এবং তারও পূর্বের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এখন যিনি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর মতো দক্ষ উপাচার্য ছিল। এরমধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন -অর রশিদ ছিলেন দুইমেয়াদে আট বছর আর বর্তমান ইউজিসির চেয়ার অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদের দুই মেয়াদের শেষ মেয়াদে তার সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং এখানে আমার যে হঠাৎ করে আসা তা নয় । একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আমি এ দায়িত্বে এসেছি।


দায়িত্ব নেয়ার পর আমি যে সমস্যাগুলো পেয়েছি তার মধ্যে ছিল কোভিডের কারণে আসলে কিছু কাজ আটকে ছিল। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া, অনলাইনে ক্লাস চালু করতে পেরেছি ঠিকই কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিঘ্রিত হয়েছে। কতগুলো বিজ্ঞাপন দেয়া ছিল যেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতিসহ শিক্ষার্থীদের অনেক বিষয় সময় মতো করা যায়নি। কলেজগুলোতে ক্লাস নেয়া , মনিটরিং করাসহ অনেক কিছুই কোভিডের কারণে থমকে গেছে।


বিবার্তা: এসব সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন?


অধ্যাপক ড. মশিউর : আমি যদি বলি সুনির্দিষ্টভাবে কি করতে চায় তাহলে বলবো , এই দেড় বছরে লার্নিং প্রসেসের যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটি পুষিয়ে নেয়া। সেটি করতে গিয়ে পরীক্ষা, পরীক্ষার পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস, এর পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা হবে। এ তিনটার সমন্বয় করে আমরা যদি একসঙ্গে এগোতে পারি তাহলে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা আমরা করতে পারি। সুতরাং এ মুহূর্তে ঠিক কোভিডের কারণে যে কাজগুলো পিছিয়ে গেছে সেগুলো সম্পন্ন করা হবে। তারপর আমরা অনলাইনে ক্লাসের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষজ্ঞদের ক্লাস আপলোড করার চিন্তাভাবনা করছি। অর্থাৎ আমরা কোভিডের সময় মোট ১৩ হাজার ক্লাস আপলোড করার যে পরিকল্পনা করেছিলাম তার মধ্যে ৭ হাজারের বেশি ক্লাস ইতোমধ্যে ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে। এখন এর পাশাপাশি আমরা ভাবছি নতুন ক্লাস আপলোড করা হবে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায়।


বিবার্তা : কোভিড শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলছে বলে আপনি মনে করেন?


অধ্যাপক ড. মশিউর : কোন কোন ক্ষেত্রে যদি কোভিডের কারণে শিক্ষক কমে যায়, শিক্ষকের আগ্রহ কমে যায় , শিক্ষার্থী ঝড়ে যায় বা আসতে সময় লাগে সেক্ষেত্রে এমন কিছু ক্লাস নেয়া যেগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কার্যকরী হবে। আমি বলি না , সরাসরি ক্লাস রুমের কোনো বিকল্প আছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জুমে থাকতে না পারলেও ইউটিউবে ক্লাসগুলো দেখে নিতে পারবে। এগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আওতায় আমরা করেছি। এর পাশাপাশি পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম তো চলছেই।


বিবার্তা : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম নিয়ে বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?


অধ্যাপক ড. মশিউর : প্রাথমিক কাজগুলোর পর আরও কিছু বড় কাজে হাত দিতে চাই । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যেটা আছে সেটার কনটেন্ট আসলেই ভালো। কিন্তু লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা সহশিক্ষার কার্যক্রম অর্থাৎ পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সটা কারিকুলামের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের একটা বড় মাপের কমিটি করেছি। সেখানে দেশ বরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। এটা অনলাইনে এবং সরাসরি চলবে । যেমন পড়াশোনা চলবে, তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রম চলবে। আমরা শীঘ্রই সেটার একটা গাইড লাইন তৈরি করতে যাচ্ছি।


বিবার্তা: নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?


অধ্যাপক ড. মশিউর : এবার যে নতুন শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তারা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অনার্স সম্পন্ন করতে পারবে বলে আমরা একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডারের কাজ সম্পন্ন করেছি। অর্থাৎ এবার যারা ভর্তি হয়েছে তাদের অনলাইন এবং ফেস টু ফেস ক্লাস দুইটার কম্বিনেশন করে , পাশাপাশি যথা সময়ে পরীক্ষা অব্যাহত রেখে এটা কার্যকর করা হবে।



বিবার্তা: কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপারে কি ভাবছেন?


অধ্যাপক ড. মশিউর : শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা নতুন একটা অফার দেবো। শিক্ষার্থীরা চাইলে মাস্টার্স করতে পারবে, আবার মাস্টার্স না করেও তার সামনে ৮-১০ টা শর্ট কোর্স থাকবে। আইসিটি , ল্যাঙ্গুয়েজসহ এরকম আরও অনেক বিষয়ে শর্ট কোর্সের আমরা ডিজাইন করছি। শিক্ষার্থীদের কাছে অফার থাকবে তারা এক বছরের শর্ট কোর্স বা ডিপ্লোমা করতে পারবে। একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী সেটা করবে। যারা মাস্টার্স করতে চায় তারা তাদের মাস্টার্স করতে পারবে। কিন্তু একসঙ্গে দুইটা করা যাবে না। শিক্ষার্থী যদি ডিপ্লোমা করে তারপর সে যদি চাকরিতে যায় তাহলে তো যাবেই, আর না গেলেই দরকার পড়লে মাস্টার্স আরেকটা করতে পারে। অথবা সে চাকরিতে গিয়ে কিছু বছর চাকরি করে আবার যদি মাস্টার্স করতে চায় আমরা ভাবছি তাদের জন্য সে সুযোগটা রাখা উচিত। অর্থাৎ আমি উচ্চ শিক্ষাকে সীমিত করছি না। এটা শুধু অনার্সের জন্য না। এমনকি ডিগ্রীর শিক্ষার্থীরাও শর্ট কোর্সগুলোর জন্য ভর্তি হতে পারবে। অর্থাৎ অনার্স শেষ করে কিংবা ডিগ্রী শেষ করে মাস্টার্স না করে শিক্ষার্থীরা এ কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন। এ কোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের কাজের প্রতি আগ্রহ, সৃজনশীলতা বাড়াবে বলে আমরা মনে করি। এভাবেই এক্সটা কারিকুলাম ও শর্টকোর্সের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যমী , কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই।


বিবার্তা: এ উদ্যোগ কবে থেকে শুরু করা হবে?


অধ্যাপক ড. মশিউর : এ কাজটা আমরা একটা ট্র্যায়াল বেসিসে এগিয়েও আনতে পারি। এখন যারা ফার্স্ট ইয়ার তাদের জন্য এটা ম্যাসিভ করা হবে ইনশাআল্লাহ। জানুয়ারি ২০২২ থেকে আমরা চেষ্টা করবো আইসিটি, ল্যাঙ্গুয়েজসহ যেগুলো আমরা ভাবছি তার কতগুলো কলেজে ট্র্যায়াল করতে। আমাদের তেরো শতেরও অধিক কলেজ আছে৷ সেখানে ৫০ বছরের বেশি বয়সের কলেজও আছে। পুরনো, ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোর শিক্ষকদের আমরা প্রথমে গাজীপুরে সরাসরি বা অনলাইনে দেশে, বিদেশে নানা ভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি। তারপর সেই টিচাররা ক্লাস রুমে গিয়ে ঐ ডিপ্লোমাগুলো পড়ায় তাহলে আমি মনে করি ২০২৪ এর আগে অর্থাৎ এখন যারা সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার তারা এটা পেতে পারে। এটা হয়তো অনেক ম্যাসিভ করতে পারবো না। কারণ এর জন্য অবশ্যই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ লাগবে। এছাড়া এটা শিক্ষার্থীদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে সেটাও দেখার বিষয় আছে। ২০২৪ এ এটা পুরোদমে শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও ২০২২ এ এটার উপর ট্র্যায়াল দেয়ার পরিকল্পনা আছে। এখনই দিন-তারিখ বলছি না। তবে এসময়ে কিছু কোর্স চালু করে দেবো।এখন হয়তো ১০ টা একসঙ্গে না, ২-৩ টা একসঙ্গে করা হতে পারে। পরে দেখবো, এটার মধ্যে কি কি সমস্যা দেখা দেয়? শুরুতে যারা এ কোর্সগুলো করবে তারাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সনদ পাবে। তবে প্রথমদিকে পরিসর একটু ছোট থাকবে। শতবর্ষী, ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোতে শুরুর দিকে এটা চালু করা হবে। সেটা সরকারি -বেসরকারি দুই রকমের কলেজেই হতে পারে।


বিবার্তা: শিক্ষার্থীদের উৎসাহ -উদ্দীপনা নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছেন কি?


অধ্যাপক ড. মশিউর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে কাজ করবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই নাই, সে বিষয়ে ভাবছি। লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং কলেজগুলোতে কানেক্টিভিটি ওয়ার্কার নিয়ে পরিকল্পনা আছে।


বিবার্তা: বিবার্তাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


অধ্যাপক ড. মশিউর : আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/রাসেল/আবদাল/এমবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com