কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের অ্যামেরিকায় প্রবেশের ওপর ট্রাম্প সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে ''বৈধ'' বলে রায় দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিবাসন ও শরণার্থী নীতি আরও কড়া করে তোলায় উৎসাহ পাচ্ছেন।
একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তার পরিণতি সামলাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতও একাধিকবার তাঁর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। তাই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেবার পর ট্রাম্প উল্লাসে ফেটে পড়েন।
বিরোধীদের যুক্তি ছিল, নির্দিষ্ট কয়েকটি মুসলিম দেশ থেকে অ্যামেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ধর্মীয় বৈষম্যের দৃষ্টান্ত। আর এমন বৈষম্য মার্কিন সংবিধানপরিপন্থী। বিরোধীদের এ যুক্তি সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ট্রাভেল ব্যান' মার্কিন অভিবাসন আইন অথবা ধর্মীয় বৈষম্য রুখতে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করছে মর্মে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নাগরিক অধিকার সংগঠন, বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলসহ অনেক গোষ্ঠী আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ,বিক্ষোভ দেখা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে কড়া হাতে মার্কিন অভিবাসন ও শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন আনছেন, তার ফলে বিরোধীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
আদালতের রায়ের পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, এই রায় মার্কিন জনগণ ও সংবিধানের জন্য বিশাল জয়। তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের অত্যন্ত কড়া হতে হবে, আমাদের নিরাপদ থাকতে হবে। আমাদের দেশে যারা প্রবেশ করছে, তাদের সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর করতে হবে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদী আন্দোলন যেভাবে নিরীহ মানুষের ক্ষতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই যুগে এটা অত্যন্ত জরুরি।''
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বেশিরভাগ মানুষ অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ''সাফল্য'' সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি সমস্যার মুখে পড়ছে। মার্কিন কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত সার্বিক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]