
ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানোয়া নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ায় হামলা চালানো হয়। তাতে আল-কানোয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হন। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে আবদেল-লতিফ আল-কানোয়ার তাঁবুতে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। হামাস-পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আল-কানোয়ার তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তিনি নিহত হন। একই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
গাজায় নতুন করে ইসরাইলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসের বেশ কয়েকজন নেতা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ নেতা হলেন আবদেল-লতিফ আল-কানোয়া। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দুই সদস্য ইসমাইল বারহুম ও সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তথ্য মতে, ইসরাইল এর আগে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর আরও নয়জন সদস্যকে হত্যা করেছে। তারা হলেন ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার, সালেহ আল-আরুরি, রাহি মুশতাহা, সামেহ আল-সারাহ, মারওয়ান ইসা, জাকারিয়া মুয়াম্মার, জামিলা আশ-শান্তি ও জাওয়াদ আবু শাম্মালা।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত সপ্তাহে (১৮ মার্চ) গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরাইল। সেই থেকে গত ১০ দিন ধরে বিমান হামলার পাশাপাশি চলছে স্থল অভিযান। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হামলা থেকে বাঁচতে আবারও দিগ্বিদিক পালাচ্ছে উপত্যকার অধিবাসীরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ হাজার ১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২৮ জন আহত হয়েছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলের নতুন অভিযানের ফলে গাজায় ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]