চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের জন্য রসদ হিসেবে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

সম্প্রতি ফ্রান্স ইন্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান তিনি। তবে ম্যাক্রোঁর এ ধরনের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু এক ভাষণে বলেন, আজ আমি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিচ্ছি। ইসরায়েল এখন সাতটি ফ্রন্টে শত্রুদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করছে। আমরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যারা ৭ অক্টোবর আমাদের জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, শিরশ্ছেদ করেছে এবং পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন। যারা আমাদের উত্তর সীমান্তে ৭ অক্টোবরের থেকেও বড় হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল এবং প্রায় এক বছর ধরে ইসরায়েলের শহরগুলোয় রকেট হামলা চালাচ্ছে। আমরা ইয়েমেনের হুতি এবং ইরাক ও সিরিয়ার শিয়া মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যারা একত্রে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমরা জুদিয়া এবং সামারিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, যারা আমাদের শহরের মাঝখানে বেসামরিক মানুষদের হত্যার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে আমরা ইরানের বিরুদ্ধেও লড়াই করছি, যারা গেল সপ্তাহে ইসরায়েলের দিকে ২০০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং এই সাতটি ফ্রন্টে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যখন ইরানের নেতৃত্বাধীন বর্বর শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন সব সভ্য দেশকে ইসরায়েলের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো উচিত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং অন্যান্য পশ্চিমা নেতারা এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের জন্য লজ্জা! ইরান কি হিজবুল্লাহ, হুথি, হামাস এবং তাদের অন্যান্য দোসরদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে? অবশ্যই না। এই সন্ত্রাসের জোট একসঙ্গে কাজ করছে।

নেতানিয়াহুর দাবি, যারা এই সন্ত্রাসের জোটের বিরোধিতা করার দাবি করে, তারাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছে। কত বড় লজ্জা! ইসরায়েল তাদের সমর্থন ছাড়াই জয়লাভ করবে। কিন্তু তাদের লজ্জা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও থেকে যাবে। কারণ, নিজেদের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রক্ষা করার মাধ্যমে, ইসরায়েল সভ্যতাকে রক্ষা করছে। তাদের বিরুদ্ধে যারা আমাদের সবার ওপর অন্ধকার যুগের উগ্রবাদ চাপিয়ে দিতে চায়। নিশ্চিত থাকুন,নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তির জন্য ইসরায়েল লড়াই চালিয়ে যাবে, ঠিক ততক্ষণ, যতক্ষণ না আমরা বিজয়ী হবো।

বিবার্তা/এনএইচ