গাজায় দুর্ভিক্ষে ৩৩ শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪, ২০:২৫
গাজায় দুর্ভিক্ষে ৩৩ শিশুর মৃত্যু
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

খাদ্যের দুষ্প্রাপ্যতা এবং তার ফলে সৃষ্ট অপুষ্টি ও এ সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় এ পর্যন্ত গাজায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৩ জন শিশুর। মৃত এই শিশুদের অধিকাংশই গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকার।


দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযান এবং সীমান্ত অবরোধের কারণে গাজায় গত ৯ মাস ধরে খাদ্যসামগ্রীর প্রবেশ ও সরবরাহ ব্যবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। ফলে ইতোমধ্যে সেখানে সময়ের বাড়ার সাথে সাথে দুর্ভিক্ষও ছড়িয়ে পড়ছে শহর জুড়ে।


৯ জুলাই, মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।


গত মে মাসে গাজা সফরে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মনোনীত ১১ জন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই তথ্যকে সমর্থন করেছে সংস্থাটিও।


মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্যানেলের সদস্যরাও জানিয়েছেন, সফরের সময় তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং মধ্যাঞ্চলীয় উপশহর দেইর আল বালাহতে অপুষ্টিজনিত কারণে বেশ কয়েকজন শিশুকে মৃত ও মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেছেন।


জাতিসংঘ প্যানেলের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এই শিশুদের মৃত্যু গাজায় ছড়িয়ে পড়তে থাকা দুর্ভিক্ষের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে।


জাতিসংঘ প্যানেলের এই বিবৃতিকে সমর্থন করে পৃথক এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত মিখায়েল ফাখরি বলেছেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।


খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে নিজের মুমূর্ষু পুত্রসন্তানকে নিয়ে আসা ফিলিস্তিনি নারী গানিমা জোমা রয়টার্সকে বলেন, যুদ্ধের কারণে আমি আমার সন্তানকে খাওয়াতে পারিনি। যে পানি এখন আমরা খাচ্ছি তাও দূষিত। ছেলের দিকে তাকালে কষ্ট হয়।


বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশনের (আইপিএস) এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এই মুহূর্তে গাজায় চরম খাদ্যসংকটে রয়েছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ, যা ওই উপত্যকার মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক অংশ। যদি শিগগিরই ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত অবরোধ তুলে নিয়ে ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় না আনে, তাহলে এই সংকটে অচিরেই আক্রান্ত হবে আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।


বিবার্তা/ইমি/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com