
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজুর জেলায় নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে বোমা হামলায় সাবেক সিনেটরসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে রিমোট নিয়ন্ত্রিত একটি বোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা বাখ মুনির বলেছেন, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বাজুর উপজাতীয় জেলায় নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন সিনেটর হিদায়েতুল্লাহ। এসময় তার গাড়িটিকে লক্ষ্য করে রিমোট কন্ট্রোল বোমা ব্লাস্ট করা হয়।
আনোয়ারুল হক নামের আরেক পুলিশ জানিয়েছেন, বোমাটি হাতে তৈরি বিস্ফোরক যন্ত্র ছিল।
এই হামলার সঙ্গে কোনও প্রকার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে দ্য পাকিস্তানন তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। দলটি ইসলামপন্থি ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিদের একটি শাখা।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি উপজাতীয় জেলাগুলোর মধ্যে একটি বাজুর। আইনের শাসনের বর্হিভূত এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এখানকার জঙ্গিরা সীমান্তের উভয় পাশেই হামলা করে থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
নিহত সাবেক সিনেটর হেদায়েতুল্লাহ খান আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) হয়ে নির্বাচনে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে জয়লাভ করে পরবর্তীতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফে (পিটিআই) যোগদান করেছিলেন।
হিদায়াত একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তার বাবা হাজী বিসমিল্লাহ খান সংসদ সদস্য ছিলেন এবং তার ভাই শওকত উল্লাহ গভর্নর ছিলেন।
২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি দুবার স্বতন্ত্র সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তিনি উচ্চ কক্ষের এভিয়েশনসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল কাউন্টার-টেরোরিজম অথরিটিরসদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সিনেটের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এবং অন্যরা নিন্দা জানিয়েছেন ও শোক প্রকাশ করেছেন। এ হামলার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগ রয়েছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]