
ক্যারিবীয় উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে গেছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ১০টি দেশে আঘাত হানতে চলেছে এবং বড় হারিকেনে রূপ নিতে পারে। ইতোমধ্যেই সেসব দেশে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
১ জুলাই, সোমবার মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাত দিয়ে দি গার্ডিয়ান এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসলেও এটি বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং টোবাগো, মার্টিনিক, ডোমিনিকা এবং ত্রিনিদাদে হারিকেন রূপে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বেরিল প্রবল হারিকেনে পরিণত হতে পারে এবং আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ মারাত্মক হতে পারে।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির হারিকেন বিষয়ক গবেষক ফিলিপ ক্লটজবাচের বলেন, ‘রবিবার (৩০ জুন) সকালে বেরিল ক্যাটাগরি থ্রি-তে উন্নীত হয়েছিল। এখন এটি আরও শক্তিশালী হয়ে অতি বিপজ্জনক ক্যাটাগরি ফোর-এ রূপ নিয়েছে।’
বার্বাডোসের আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক সাবু বেস্ট বলেছেন, ‘সোমবার সকালে বেরিলের কেন্দ্রভাগ বার্বাডোসের দক্ষিণে প্রায় ১১২ কিমি বেগে অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) পরামর্শতে জানিয়েছে, ২০২৪ মৌসুমের প্রথম এই হারিকেনটি রবিবার রাতে বার্বাডোসের প্রায় ১৫০ মাইল (২৪০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। সেসময় হারিকেনের অবস্থানস্থলে বাতাসের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১৩০ মাইল (২১৫ কিলোমিটার)।
এনএইচসি আরও জানিয়েছে, ‘বেরিল অত্যন্ত বিপজ্জনক ও প্রবল হারিকেন হিসাবে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ এটির মূল উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে পূর্ব ক্যারিবিয়ানে চলে গেছে।’
ঘূর্ণিঝড় বেরিলের কারণে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলজুড়ে বহু মানুষ তাদের বাড়িঘরের সুরক্ষার জন্য কাঠের বোর্ড দিয়ে দরজা বা জানালা ঢেকে দিচ্ছেন, অনেকে ফিলিং স্টেশনে জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন এবং আবার অনেকে ঝড় ও দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে খাবারসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ এবং পানি মজুদ করছেন।
বিবার্তা/ইমি/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]