
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ১২ জনের বেশি মানুষ লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোকে।
বুধবার (১৯ জুন) হাসপাতালগুলোর জন্য জারি হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। সদ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়া মন্ত্রী জেপি নাড্ডা দিল্লির সব সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। হিটস্ট্রোকের চিকিৎসা করতে হাসপাতালগুলো আদৌ প্রস্তুত কিনা সে বিষয়েও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন দ্রুত হিটওয়েভ ইউনিট চালু করা হয়, যেখানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
এছাড়া তিনি কর্মকর্তাদের হিটস্ট্রোক-সম্পর্কিত হতাহতের রেকর্ড রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, ওআরএস প্যাক, আইভি ফ্লুইড এবং আইস প্যাকগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ সংগ্রহ করতে বলেছেন।
প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই দিল্লির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন লোকজন। যে ২০ জন মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুও হয়েছে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
এদিকে গরমকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট। দুই কোটি মানুষ অধ্যুষিত দিল্লির রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, গরমের কারণে রাজধানী ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ-পানির চাহিদা বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে এবং জনগণের এই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দিল্লির রাজ্য সরকার।
শুধু দিনের বেলা নয়, রাতেও দিল্লির তাপমাত্রা থাকছে অনেক বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভেঙেছে গত ১২ বছরের রেকর্ড। ২০১২ সালের জুনে গড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই ছিল এযাবৎকালের রেকর্ড। সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। বুধবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]