এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ১৭:৪৪
এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নেপাল সরকারকে এভারেস্ট পর্বত ও অন্যান্য পর্বতশৃঙ্গ আরোহণে অনুমতির সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।


এপ্রিলের শেষদিকে এই রায় জারি করা হলেও এটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে এই সপ্তাহে। খবর এএফপি ও ফ্রান্স২৪ এর।


দীপক বিক্রম মিশ্র নামে দেশটির এক আইনজীবী আদালতে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালত সম্প্রতি এ আদেশ দেন।


আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাহাড়ের ধারণক্ষমতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত ও প্রতি বছর সর্বোচ্চ কতজনকে আরোহণের অনুমতি দেয়া হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।


বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে ৮টিই রয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল সরকার প্রতি বছরের বসন্তে বিশ্বের শত শত অভিযাত্রীকে এসব শৃঙ্গ আরোহণের জন্য স্বাগত জানায়। বছরের এই সময়টাতে হিমালয়ের তাপমাত্রা তুলনামূলক উষ্ণ ও বাতাস শান্ত থাকে।


জানা গেছে, পর্বতারোহীর সংখ্যা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র। তিনি এএফপিকে বলেছেন, হিমালয়কে আমরা খুব বেশি চাপ দিচ্ছি, এটিকে কিছুটা অবকাশ দেয়া দরকার।


আদালত নেপালের পাহাড় ও পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


দীপক মিশ্র আরও বলেন, আদালত জরুরি উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেলিকপ্টারগুলো পর্বতারোহীর দলগুলোকে বেস ক্যাম্পে ও বিপজ্জনক জায়গায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।


নেপাল বর্তমানে যে-সব আরোহী ১১ হাজার মার্কিন ডলার দিতে পারেন তাদের সবাইকেই এভারেস্টে আরোহণ করার অনুমতি দেয়। গত বছর দেশটি এভারেস্টের জন্য ৪৭৮টি অনুমতি দিয়েছিল, যা রেকর্ড পরিমাণ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৪৫ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল, যার মধ্যে ৪০৩ জন অভিযানে রয়েছেন।


নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিমা নুরু শেরপা বলেছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও পরামর্শের পর আদালতের রায় কার্যকরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। আরোহীদের সংখ্যা কমে গেলে এই খাতে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।


আমরা জানি না, কীসের ভিত্তিতে সীমা নির্ধারণ করা হবে ও কীভাবে সেই সীমা আরোহীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে।


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com