
এবার কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য নকশা করা ‘সুপার-লার্জ ওয়ারহেডে’র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির পারমাণবিক ও অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সময়ে এই পরীক্ষা চালানো হলো। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে।
কিম জং উন সরকারের পারমাণবিক ও অস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ চলাকালে রাশিয়ার ভেটো প্রদানের পরপরই উত্তর কোরিয়া সরকারের পক্ষে এই ঘোষণা দেয়া হলো।
বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন, উত্তর কোরিয়া নতুন করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের লক্ষ্যে রাশিয়ার জন্য পাঠানোর আগে এই পরীক্ষা চালানো হতে পারে, এমনটাই বলে আসছিলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করে আসছে, উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
শনিবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, শুক্রবার বিকেলে ‘অতি বৃহদাকার’ ক্রুজ মিসাইল ওয়ারহেড এবং পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় একটি নতুন বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা।
কেসিএনএ আরো জানায়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন ‘হুয়াসাল-১ রা-৩’ কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহারের জন্য সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে। এছাড়া একই দিনে উত্তর কোরিয়া কোরীয় সাগরের পশ্চিমে ‘পিওলজি-১-২’ নামের নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রেরও সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি থেকে প্রকাশিত ছবিগুলিতে একটি রানওয়েতে লঞ্চার ট্রাক থেকে কমপক্ষে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হতে দেখা যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে গভীর উত্তেজনার মুখে নিজেদের সামরিক দক্ষতা প্রসারিত করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা পীত সাগরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বেশ কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
জেট প্রোপেল্ড ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক নিচু দিয়ে উড়ে যেতে পারে। এ কারণে এসব ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ভূপাতিত করা বেশ কঠিন।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি একই ধরণের একটি পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। তবে তখন কোনও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের নাম উল্লেখ করেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দেশটি সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই সিস্টেমের পরীক্ষা করার মাধ্যমে তাদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখছিল।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]