চীনকে আরও চাপে রাখতে মার্কিন প্রযুক্তি রফতানি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪২
চীনকে আরও চাপে রাখতে মার্কিন প্রযুক্তি রফতানি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চীনের প্রযুক্তিগত উত্থানের রাশ টেনে ধরতে নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের অক্টোবরে জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনের ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর চিপ ও চিপ তৈরির উপকরণ রফতানিতে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা নবায়ন করেছে বাইডেন প্রশাসন।


মূলত এর লক্ষ্য হচ্ছে, এনভিডিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক চিপ যেন চীনের হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়, এই উন্নত প্রযুক্তি চীনের হাতে গেলে সে দেশের সামরিক বাহিনী তা ব্যবহার করতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা চীনের হাতে এ প্রযুক্তি গেলে তা তাদের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করবে। প্রযুক্তি রফতানির বিধিনিষেধের আকার দাঁড়িয়েছে ১৬৬ পৃষ্ঠা। এতে বলা হয়েছে, যেসব চিপ চীনে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেই সব চিপসংবলিত ল্যাপটপও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।


মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সময় সময় এই নিষেধাজ্ঞা হালনাগাদ করা হবে।


ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সাল থেকে চীনের সঙ্গে রীতিমতো প্রযুক্তি যুদ্ধ শুরু করে। দেশটির প্রযুক্তি খাতের রাশ টানতে এবং মার্কিন প্রযুক্তি যেন চীনের সামরিক বাহিনীর হাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে চীনের কাছে সেমিকন্ডাক্টর ও এর উপকরণ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।


মার্কিন সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কিছু প্রযুক্তি কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কার্যক্রম সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চিপ বানাতে চীনের কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশল করছে।


জানা গেছে, চীনের বেশ কিছু সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন কোম্পানি এখন মালয়েশিয়ার কিছু কোম্পানিকে দিয়ে উচ্চ প্রযুক্তির চিপের একাংশ সংযোজন করাচ্ছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com