মিয়ানমার ইস্যুতে ঢাকা-দিল্লিকে সতর্ক করলেন ডোনাল্ড লু
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৭
মিয়ানমার ইস্যুতে ঢাকা-দিল্লিকে সতর্ক করলেন ডোনাল্ড লু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মিয়ানমার পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চলমান অস্থিরতা আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা ও দিল্লিকে সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতি হচ্ছে না এবং বাংলাদেশ ও ‘সম্ভবত ভারতের জন্যও’ যে শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা আরও গভীর হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।


শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের থিঙ্কট্যাঙ্ক ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিসের (ইউএসআইপি) এক অনুষ্ঠানে এ ধরনের সতর্কতা উচ্চারণ করেন ডোনাল্ড লু।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগ, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ও পেন্টাগনের অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও এদিন ইউএসআইপির অনুষ্ঠানে নিজেদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন।


ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মতানৈক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাত এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক ও গভীর সংঘাতর কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেন ডোনাল্ড লু। মিয়ানমার পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কীভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে নিজে বেশি সময় ব্যয় করেছেনে বলে জানান বাইডেন প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।


মিয়ানমারের লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে ডোনাল্ড লু বলেন, দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ।


লু বলেন, আমি বাংলাদেশ, সেখানে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বার্মায় অস্থিরতা এই অঞ্চলের জন্য কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ১০ লাখেরও বেশি লোকের জন্য ঢাকা যে উদারতা দেখিয়েছে তার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বড় পরিসরে কাজ করেছে। আমার বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কক্সবাজার পরিদর্শন করার সুযোগ হয়েছে। আমি এসব শরণার্থীকে ঘরে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রত্যক্ষ করেছি।


বাইডেন প্রশাসনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এ অঞ্চলে আমাদের অংশীদারদের বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতকে সমর্থন করতে হবে। যাতে তারা তাদের দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা বাড়তে না দিয়ে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে।


বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রণয়নের বিষয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই নতুন বিশ্বকে পরিচালনা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে মালদ্বীপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এটি এমন জায়গা যেখানে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ অন্যান্য দেশ নিজেদের প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা করছে। আমরা আরও ভালো প্রস্তাব দেওয়ার মাধ্যমে জয়লাভ করব….আমার মত হলো চীন তখনই একটি ভাল অংশীদার হবে যখন সেখানে যথার্থ ও সত্যিকারের প্রতিযোগিতা থাকবে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com