নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার এক ঐতিহ্যবাহী রাজা সেগুন আরেমুকে প্রাসাদে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় রানী ও তার সাথে আরও একজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। হামলাকারী কারা বা তারা কোনো মুক্তিপণ দাবি করছে কি না— তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নাইজেরিয়ায় অপহরণের ঘটনা মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারির দাবি ওঠার দিন কয়েকের মধ্যেই এই হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটল।

সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কোয়ারা রাজ্যে অপহরণের ঘটনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা জারির দাবির পরেই এ ঘটনা ঘটলো। নিহত রাজা উপাধি ধারণ করা সেগুন আরেমু একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। পূর্বপুরুষের মতো তিনিও রাজ্যটির প্রথাগত রাজা ছিলেন। তার আনুষ্ঠানিক উপাধি ছিল কোরোর ওলুকোরো। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত রানীর মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

এদিকে নাইজেরিয়ার গভর্নর আব্দুল রহমান আব্দুল রাজ্জাক রাজাকে হত্যার ঘটনাটিকে ‘বেপরোয়া, মর্মান্তিক ও জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

এ ঘটনায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর কাছে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজের ৫০টি সংগঠন। তারা জানিয়েছে, গতবছর মে মাসে বোলা টিনুবু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির ১ হাজার ৮০০’র বেশি মানুষ অপহৃত হয়েছেন।

সম্প্রতি নাইজেরিয়ার একিতি রাজ্যে পাঁচ স্কুলশিশু এবং চার শিক্ষককে জিম্মি করে তাদের মুক্তির জন্য বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। গত বুধবার রাতে দেশটির রাজধানী থেকে এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা অপহৃত হয়েছেন। গত মাসে ৬ বোনকে তাদের বাবাসহ অপহারণ করা হয়েছিল। মুক্তিপণ দিতে দেরির কারণে ওই ছয় বোনের একজনকে হত্যা করা হয়েছিল।

বিবার্তা/লিমন