
জাপানের নোটো উপদ্বীপ ও ইসিকাওয়া প্রণালীতে ৩ দশমিক শূন্য মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। আর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। দেশটির আবহাওয়া সংস্থার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে ইমার্জেন্সি ওয়েদার।
দুই দিন আগে ১৫ জানুয়ারি দেশটির মিয়াগি অঞ্চলের উপকূলে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক শূন্য। আর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে, ১৪ জানুয়ারি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশটির নোটো উপদ্বীপ ও ইসিকাওয়া প্রণালীতে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৪। আর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) দেশটিতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে যেসব ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে সেগুলোর অনেক জায়গায় এখনও পৌঁছাতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ভূমিকম্পটি জাপান সাগরের উপকূলের দূরবর্তী স্থানে আঘাত হানে। সবশেষ ওই ভূমিকম্পের পর যেসব অঞ্চলের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানে গত মঙ্গলবারের (৯ জানুয়ারি) ভূমিকম্পেরও কম্পন অনুভূত হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে আফগানিস্তানে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে দেশটির রাজধানী কাবুল থেকে প্রতিবেশী পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পর্যন্ত ভবনগুলো কেঁপে উঠে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাদাখশানের পাহাড়ি হিন্দুকুশ অঞ্চলের জুর্ম জেলায়।
অন্যদিকে, গত ৯ জানুয়ারি ভোররাতে ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মঙ্গলবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সারঙ্গানি প্রদেশ ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]